নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আম আদমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করল ইডি। বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে আপ সাংসদকে গ্রেফতার করার কথা জানানো হয়। এ নিয়ে দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আপের দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করল ইডি।
বুধবার সকালেই আম আদমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা।দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পরে রাজসাক্ষী হওয়া কুখ্যাত মদ ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরার অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে হানা দেয় মোদি জমানায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছিলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে ইডি আধিকারিকদের পাঠিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।’ টানা কয়েক ঘন্টা তল্লাশি শেষে বিকেলে রাজ্যসভার সাংসদকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আসংস্থার পক্ষ থেকে।
২০২১ সালে দিল্লির আবগারি নীতিতে পরিবর্তন আনে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। আর ওই নীতি পরিবর্তন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি নেতৃত্ব। আর পদ্ম শিবিরের নেতাদের হয়ে পোঁ ধরেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দয়ায় উপরাজ্যপাল পদে বসা বিনয় সাক্সেনা। তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বেশ কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই আবগারি নীতিতে পরিবর্তন এনেছিল দিল্লির আপ সরকার। কোটি-কোটি টাকা হাত বদল হয়েছে। যদিও তীব্র সমালোচনার মুখে আবগারি নীতি বদল করে পুরনো নীতি ফেরায় আপ সরকার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো মণীশ শিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও গ্রেফতার করে মণীশকে। গ্রেফতার হওয়ার পরেই মন্ত্রীপদে ইস্তফা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটি।