নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব ঘোষণা মতো মঙ্গলবার ঠিক দুপুর ১টার সময় দিল্লির(New Delhi) যন্তরমন্তরে(Jantar Mantar) শুরু হয়েছে তৃণমূলের(TMC) ‘মিশন দিল্লি’ দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি। বাংলার(Bengal) জব কার্ড হোল্ডারদের(Job Card Holders) ১০০ দিনের কাজের টাকা, প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং বকেয়া পাওনার দাবি-সহ একাধিক আর্থিক দাবি দাওয়া নিয়ে দিল্লিতে দু’দিনের কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। তারই নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন দিল্লি’, যার নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। সেই ধর্না কর্মসূচি শুরুর আগেই তৃণমূলের তরফে ট্যুইটারে লেখা হয়, ‘সুবিচারের দাবিতে গর্জন করছে বাংলা। বাংলার মানুষকে নিজের অধিকারের দাবিতে লড়াই করার থেকে আর কোনও কিছুই রুখতে পারবে না।’
এদিন দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ধর্না মঞ্চে আসেন অভিষেক। তিনি দলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়কদের সঙ্গে মঞ্চে বসে অবস্থান শুরু করেন। তাঁর গলায় এদিন যে পোস্টার দেখা গিয়েছে তাতে লেখা আছে, ‘জীবন চাই জীবন নাও, বকেয়া টাকা ফেরত দাও।’ সোমবার থেকে শুরু হওয়া তৃণমূলের কর্মসূচিতে বার বার বাধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ। এদিন যন্তরমন্তরে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে সেই দিল্লি পুলিশের উদ্দেশ্যেই বেশ নমনীয় বার্তা দেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘দিল্লি পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই। বরং আপনাদের বাড়ির যে নিত্যদিনের সমস্যা তা নিয়েই লড়ছে তৃণমূলের। রান্নার গ্যাসের দাম, পেট্রোলের দাম থেকে শুরু করে বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি— সব কিছু নিয়ে লড়ছে তৃণমূল। তাই আমরা আশা করব, এর পরে এই দিল্লি পুলিশ যারা আমাদের পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং আমাদের মিটিং শুনছেন তাঁরা প্রত্যেকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কেই ভোট দেবেন।’