নিজস্ব প্রতিনিধি : এখনই ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের যদি বিভাজন করা যায়, তাহলে ২০১৬ সালের পুরো এসএসসির প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না। তবে সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে ও তিন মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিতে পারবে। একইসঙ্গে হাইকোর্ট যে চাকরিহারাদের ১২ শতাংশ হারে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল তার ওপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তার ওপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, কেন স্কুল সার্ভিস কমিশন ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। নাইসাকে বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন যথাযথভাবে টেন্ডার ডাকা হয়নি। তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ এসএসসির। কিন্তু এসএসসি দায়িত্ববানের মতো কাজ করেনি। এদিন এসএসসির আইনজীবী আদালতকে জানায়, সিবিআইয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যোগ্য ও অযোগ্যের আলাদা তালিকা তৈরি করা সম্ভব। প্রধান বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, সিবিআই যদি নিজেই জানায় ৮ হাজার ৩২৪ জনকে বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে, তাহলে গোটা প্যানেল কেন বাতিলের কথা বলছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিবেচনা করব। তার আগে নিঃশর্ত স্থগিতাদেশ দিতে আমরা রাজি নই।