নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: ছয় বছর আগে এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অপরাধে আসামী হবিবুর রহমানকে ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়েছে আসামীকে। আর ওই রায়ই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, নিম্ন আদালতের বিচারকের রায় অনেকাংশেই গুরুদণ্ড।
২০১৮ সালে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কোকরাঝোড় জেলার বাগড়িবারি থানায় অভিযোগ দায়ের করে এক নাবালিকার পরিবার। অভিযোগে বলা হয়, নাবালিকা কন্যাকে যৌন হেনস্থা করেছেন হবিবুর। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে মামলায় শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন অর্থাৎ পকসোর একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়।
ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে কোকরাঝোড়ের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তথা পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক জয়দেব কোচ অভিযুক্ত হবিবুরকে ৩০ বছরের সশস্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন। পকসো আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাজাপ্রাপ্ত হবিবুর রহমানের পরিবার।