নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগেই বিহারে শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের। শতাব্দী প্রাচীন দলে সামিল হলেন বিহারের ‘বাহুবলী’ নেতা তথা জন অধিকার পার্টির সুপ্রিমো পাপ্পু যাদব। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে দলকেও মিশিয়ে দিলেন। বুধবার এআইসিসি সদর দফতরে গিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরেই হাত শিবিরে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন পূর্ণিয়ার প্রাক্ত সাংসদ। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে স্বাগত জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা ও মোহন প্রকাশ।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই পাটলিপুত্রের রাজনীতিতে সমীকরণ বদলাচ্ছে। আসন রফায় ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি পারস। তিনি কংগ্রেস-আরজেডি ও বামেদের মহাজোটে সামিল হতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। আর সেই জল্পনার মধ্যেই আচমকা কংগ্রেসে নাম লেখালেন পূর্ণিয়ার প্রাক্তন সাংসদ তথা বাহুবলী নেতা পাপ্পু যাদব।
১৯৯০ সালে নির্দল প্রার্থী হিসাবে বিহার বিধানসভা ভোটে জিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সী রাজনেতা। পরে লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হন। এর পরে জন অধিকার পার্টি নামে নয়া রাজনৈতিক দল গড়ে ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে লড়েন। পাপ্পুর স্ত্রী রঞ্জিত রঞ্জন কংগ্রেসের সাংসদ। এদিন কংগ্রেস সামিল হওয়ার আগে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গেও বৈঠকে বসেছিলেন পূর্ণিয়ার প্রাক্তন সাংসদ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পূর্ণিয়া থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়াতে চলেছেন বিহারের ‘বাহুবলী’ নেতা।