নিজস্ব প্রতিনিধি: অটলবিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand)। জন্মের পর থেকেই সেখানে ক্ষমতার অলিন্দে ঘোরাফেরা করছে হয় বিজেপি(BJP) নাহয় কংগ্রেস(INC)। কিন্তু ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে(Assembly Election) অনেকেই আশা করেছিলেন সেখানে হয়তো এবারে ক্ষমতায় ফিরলেও ফিরতে পারে কংগ্রেস। কিন্তু কোথায় কী! বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডের ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা। প্রথম দিকে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চললেও যত বেলা গড়িয়েছে ততই যেন এক পেশে হয়েছে সেই লড়াই। ট্রেন্ড বলছে হিমালয়ের কোলে থাকা এই রাজ্যে এবারেও ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে বিজেপি। সেখানে ৪৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে মাত্র ২১টি আসনে। নির্দলরা এগিয়ে রয়েছে মাত্র ২টি আসনে।
বুথ ফেরত সমীক্ষা(Exit Poll) বলে দিয়েছিল উত্তরাখণ্ডে এবারেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। তবে সেই সমীক্ষায় কিন্তু এটাও বলা হয়েছিল বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সেখানে প্রায় সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হতে পারে। সেই আভাস মিলেছিল এদিন গণনার প্রথমদিকের ট্রেন্ডে। একসময় বিজেপি ও কংগ্রেস কার্যত সমান সংখ্যক আসনে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেলা যতই গড়িয়েছে কংগ্রেসকে ততই পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। কার্যত উত্তরাখণ্ডে বিজেপি এবার দুই তৃতীয়াংশ আসন দখল করে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। আর কংগ্রেসকে আটকে থাকতে হচ্ছে বিরোধী আসনেই। কেন এই ফল হল তা অবশ্যই সোনিয়া গান্ধী আর রাহুল গান্ধিকে ভাবতে হবে। কোথায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, কোথায় খামতি থাকছে তা তাঁদেরকেই খুঁজে বার করতে হবে। প্রয়োজনে নিজেদের জমিদারি মনোভাবকে দূরে সরিয়ে রেখে আঞ্চলিক দলগুলিকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে তাঁদের সঙ্গে জোট গড়তে হবে। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাবের পরিবর্তন।
