নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড ঘিরে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কূটনীতিবিদ বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের পরে বৃহস্পতিবারই কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পথে হেঁটেছে নয়াদিল্লির। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে দিল্লিতে কর্মী-আধিকারিকদের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। তবে কতজন আধিকারিককে দেশে ফেরানো হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি কানাডার বিদেশ মন্ত্রক।
দিল্লিস্থ কানাডা দূতাবাসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় গুপ্তচরকে অটোয়া থেকে বহিষ্কারের পরেই সমাজমাধ্যমে দূতাবাসের কর্মী-আধিকারিকদের উদ্দেশে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অধিকাংশ কর্মী এবং আধিকারিক। নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশে ফিরতে চাইছেন। আধিকারিক ও কর্মীদের ভীত-সন্তস্ত্র হওয়ার বিষয়টি গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার গোচরে আনা হয়েছে। ওই সংস্থাই বিভিন্ন দেশে ভারপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদ ও আধিকারিকদের নিয়োগ ও বদলির বিষয়টি দেখভাল করে।
কতজন কর্মী এবং আধিকারিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওযা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্রের, দূতাবাসের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোর জন্য যত সংখ্যক কর্মী ও আধিকারিককে রাখার প্রয়োজন, সেই সংখ্যক কর্মী-আধিকারিককে রাখা হবে। দিল্লির দূতাবাসে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মীদের জন্য ভারত সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন কানাডা দূতাবাসের ওই মুখপাত্র।