নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শনিবার থেকে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে গোটা তামিলনাড়ু। জলের তলায় চলে গিয়েছে একাধিক শহর-গ্রাম, রাস্তা এক মানুষ সমান জল। বন্ধ ট্রেন, সড়ক পথে যাতায়াত। বিদ্যুৎ নেই একাধিক জায়গায়। কার্যত জলে ডুবে রয়েছে বড় বড় রাস্তা, ড্রেন ও হাইড্রেন। আর এই ঘটনায় গ্রেটার চেন্নাই পুরনিগমের বিরুদ্ধে তোপ দাগল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। দিল্লির মৌসম ভবন বলছে ২০১৫ সালের পর এই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে গোটা তামিলনাড়ুতে। সেই কথা স্মরণ করিয়ে পুরনিগমকে হাইকোর্টের তরফে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এতবছর কী করছিলেন? ২০১৫ সালের বন্যার পর কেন শিক্ষা নেয় নি পুরনিগম? মানুষের জলযন্ত্রণার জন্য দায়ী কারা? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নি পুরনিগম।
গত শনিবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে চেন্নাই ও তার আশেপাশের এলাকায়। উপকূল তো বটেই রাক্ষুসে নিম্নচাপের জেরে গোটা তামিলনাড়ুতে প্রবল বৃষ্টি চলবে আরও চারদিন। মঙ্গলবার ও বুধবার হাওয়া অফিসের তরফে জারি হয়েছে কমল সতর্কতা। বিশেষ করে চেঙ্গেলপেট, কাঞ্চিপুরম ও ত্রিভাল্লুরে ভারী বৃষ্টি চলছে শনিবার থেকেই। এই বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের, ২৬০ টি কুঁড়ে ঘর ভেঙে গিয়েছে ও ৭০ টি পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। সমস্যার সমাধানের জন্য পুরনিগমের তরফে ২৩,০০০ কর্মীকে রাস্তায় নামানো হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকরা। চেন্নাই শহরের ১৬ টি আন্ডারপাসে জল জমে রয়েছে। তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ১,১০৭ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৪৮ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।