নিজস্ব প্রতিনিধি, কন্যাকুমারী: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রা। এদিন সকালে কন্যাকুমারীর অগাস্তিসরমে জাতীয় পতাকা উন্মোচন করে শুরু হয় প্রস্তাবিত কর্মসূচি। রাহুলের সঙ্গে ছিলেন দলের প্রবীণ নেতা কেসি বেণুগোপাল, পি চিদাম্বরম, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ছিলেন জয়রাম রমেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল রাহুল গান্ধি যাত্রার শুভসূচনা করলেও পদযাত্রা শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে।
ভারত জোড়া যাত্রায় রাহুল গান্ধি ছাড়াও অংশ নিয়েছে আরও ১১৮ জন। ১২টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করবে এই পদযাত্রা, শেষ হবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি। পদযাত্রা থামবে শ্রীনগর। ৩,৫৭০ দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগবে ১৫০ দিন।
যাত্রা শুরুর আগে রাহুল গান্ধি দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। ভাষণে যুবরাজ বলেন, এই যাত্রার মূল্য লক্ষ্য কেন্দ্রে আসীন শাসকদলের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে যুথবদ্ধ করা। সেই সঙ্গে দেশবাসীর বক্তব্য শোনা। কারণ, কেন্দ্রে আসীন শাসকদল দেশবাসীর কথা, তাদের অভাব অভিযোগ শুনতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয়। তারা আগ্রহী শুধুমাত্র তাদের কথা শোনাতে।
রাহুল বলেন, এই যাত্রার আরও একটি উদ্দেশ্যে হল, সরকারকে দেখিয়ে দেওয়া যে তারা দেশবাসীর মধ্যে বিভেদের দেওয়াল তৈরির চেষ্টা চালালেও দেশবাসী সেই বিভেদের দেওয়াল ভাঙতে বদ্ধপরিকর। যুবরাজ এই প্রসঙ্গে মহাভারতে অর্জুনের লক্ষ্যেভেদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় অর্জুনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পাখির চোখ। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এই যাত্রাকে সফল করে তোলা। আর আমার আশা, এই যাত্রা সফল হবেই