নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন যেখানে-সেখানে ‘ঘুমিয়ে’ পড়ার জন্য বিখ্যাত এইচ ডি দেবগৌড়া। গত কয়েক দশক ধরে কন্নড় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠা প্রবীণ জেডিএস নেতা জানেন, রাজনীতির ময়দান কতটা কর্দমাক্ত। তাই পইপই করে জামাইকে বারণ করেছিলেন, রাজনীতির পঙ্কিল আবর্তে পা না রাখার জন্য। কিন্তু শ্বশুরের সেই অনুরোধ আর পরামর্শ কানে না তুলে রাজনীতিতে নাম লেখালেন দেবগৌড়ার জামাতা সিএন মঞ্জুনাথ। শুধু নামই লেখাননি, বেঙ্গালুরু গ্রামীণ থেকে বিজেপির প্রার্থীপদও হাসিল করেছেন। আর তাতেই জামাতার উপরে চটেছেন শ্বশুর দেবেগৌড়া।
কর্নাটকের বিশিষ্ট হৃদরোগ শল্য চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত সি এন মঞ্জুনাথ। দীর্ঘ ১৭ বছর কর্নাটক সরকারের শ্রী জয়দেব ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্সেসের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অবসর নিয়েছেন। আর অবসরের পরেই রাজনীতিতে পা রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শ্বশুর দেবগৌড়া নিজের দলে নিতে রাজি না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করে লোকসভা ভোটে লড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন। তাঁর সেই ইচ্ছাপূরণ হয়েছে।
গতকাল বুধবারই দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। ওই তালিকায় বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসনে মঞ্জুনাথকে প্রার্থী করা হয়েছে। বর্তমানে ওই আসনের সাংসদ কংগ্রেস নেতা ডি কে সুরেশ। যিনি আবার কন্নড় রাজনীতির দাপুটে নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই। ওই এলাকার ভোটারদের কাছে ডি কে শিবকুমার ভগবান হিসাবে পরিচিত। ২০১৯ সালে গোটা কর্নাটকজুড়ে গেরুয়া ঝড় বয়ে গেলেও বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসন কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি বিজেপি। ফলে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে সি এন মঞ্জুনাথের পক্ষে পদ্ম ফোঁটানো বড্ড কঠিন বলেই মনে করছেন রাজনীতির পণ্ডিতরা।