নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বর্ষবরণের আগে কুয়াশার কবলে ফের রাজধানী দিল্লি। ঘন কুয়াশার জেরে দিল্লিতে ব্যাহত ২৩টি ট্রেন পরিষেবা। ভারতীয় রেলের তরফে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। সেই রয়েছে ট্রেনের তালিকা। দেরিতে চলা ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে পুরী-নয়াদিল্লি পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, কানপুর-নয়াদিল্লি শ্রমশক্তি, হাওড়া-নয়া দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস, সাহারসা-নয়া দিল্লি বৈশালী এক্সপ্রেস, রেওয়া-আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস, এলাহাবাদ-নয়াদিল্লি প্রয়াগর্জ এক্সপ্রেস, আজমগড়-দিল্লি কাইফিয়াত এক্সপ্রেস, ভাগলপুর-আনন্দ বিহার বিক্রমশিলা, রাজেন্দ্রনগর-নয়াদিল্লি সম্পূর্ন ক্রান্তি। বছর শেষে ট্রেন দেরিতে চলায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে যাত্রীরা।
আনন্দ বিহার রেলওয়ে স্টেশনের এক যাত্রী জানিয়েছেন , ‘প্রতিটি বড় স্টেশনের বাইরে ট্রেন থামছে। এটাই প্রধান সমস্যা। বিষয়টি সমাধান করা উচিত।‘ রবিবার দিল্লিতে সুব্রত পার্ক, ডিএনডি ফ্লাইওভার এবং ইন্ডিয়া গেটে কুয়াশার জেরে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ সকালে জোরহাট, পাঠানকোট, জম্মু, আগ্রা এবং ভাটিন্ডায় শূন্য দৃশ্যমানতা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা জানিয়েছে, আম্বালায় দৃশ্যমানতা ২৫ মিটার, বিকানের, পাতিয়ালা, চণ্ডীগড় এবং ঝাঁসির গোয়ালিয়রে ৫০ মিটার। অমৃতসর ও হিসারে দৃশ্যমানতা রেকর্ড করা হয়েছে ২০০ মিটার।
আবহাওয়া দফতরের মতে, খুব ঘন’ কুয়াশা হল যখন দৃশ্যমানতা শূন্য থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে থাকে, ৫১ থেকে ২০০ মিটার ‘ঘন’, ২০১ থেকে ৫০০ মিটার ‘মাঝারি’ এবং ৫০১ থেকে ১,০০০ মিটার ‘অগভীর’।আগামী ৪ ঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর ভারতে থাকবে ঘন কুয়াশা। তাই গাড়ি চালানোর জন্য ফগ লাইট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে, কুয়াশার কারণে রাজধানী থেকে আসা-যাওয়া যাত্রীরাও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কম দৃশ্যমানতার কারণে ফ্লাইট এবং ট্রেনগুলির পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।