নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট বাংলায় গোটা দেশের নজর পশ্চিমবঙ্গের উপর। বাংলার ৪২ টি আসন কার দখলে যাবে, সেটাই এখন জানার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। যাই হোক, লোকসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে অনেক নয়া মুখ। যার মধ্যে রাজনীতিতে ডেবিউ করেছেন বাংলার দিদি নং ১-রচনা বন্দোপাধ্যায়। হুগলি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন তিনি। যেখানে অলরেডি কয়েক বছর ধরে রাজত্ব করছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাই এমন একটা দাপুটে প্রার্থীর বিপরীতে রচনা বন্দোপাধ্যায়কে কেন বাছলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেটাই সবার প্রশ্ন! লকেটের সামনে হেরে ভূত হবে না তো রচনা বন্দোপাধ্যায়
যদিও প্রার্থী নির্বাচনের পর থেকেই একেবারে দাপুটে নেত্রীর মতোই প্রচার করেছেন রচনা।
এত ব্যস্ততার মধ্যেও হুগলির সকল প্রান্তে গিয়ে মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। রোদকে কোনও পরোয়া করেননি, তারকার তকমা ছেঁটে ফেলে জনসংযোগ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা দের দেওয়া খাবার খেয়েছেন। হুগলীর নানা খাবার চেখে তার প্রশংসা করতেও পিছপা হননি। এতে ট্রোলিং হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু হাল ছাড়েন নি। একই ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী হয়েও লকেটের থেকে অনেক গালমন্দ শুনেছেন, পাল্টা জবাবও দিয়েছেন। এমনকি এটাও বলেছেন, রাজনীতির জন্যে কখনোই তাঁদের বন্ধুত্ব নষ্ট হবেনা। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর বন্ধুত্ব নেই তাঁদের মধ্যে। বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে কেন রচনাকে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন হুগলির বলাগড়ে সাংবাদিক সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি রচনাকে প্রার্থী করেছি, কারণ যিনি এখানে বিজেপির প্রার্থী আছেন তিনি সকলের গলারই লকেট! আমি খারাপ সেন্সে বলছি না। ভাল সেন্সেই বলছি। আর আমি বলব অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, রচনাকে তাই প্রার্থী করেছি।”এদিকে রচনাও রাজনীতিতে নেমে বরাবরই স্বীকার করেছেন, রাজনীতিতে তিনি একেবারেই আনকোরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর থেকে অনেক অভিজ্ঞ। প্রসঙ্গত, লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিনেত্রীর মোড়ক ছেড়ে গোটা রাজনীতির কেরিয়ার শুরু হয়েছে ২০১৭-১৮ সাল থেকেই। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হুগলির তৃণমূলের হাত থেকে আসন কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে সেই আসন পুনরুদ্ধারে রচনাকে প্রতিদ্বন্দ্বি করেছে তৃণমূল। আর এই কারণে তাঁদের ১৭ বছরের বন্ধুত্ব এখন প্রশ্নের মুখে!