নিজস্ব প্রতিনিধি: পাখির চোখ গোয়া। আদা জল খেয়ে পশ্চিম ভারতের এই সমুদ্র সৈকত রাজ্যে ছ’মাস আগেই নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বহিরে বাড়লেও প্রথমবার চ্যালেঞ্জের মুখে ঘাসফুল শিবির। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় সাধারণ নির্বাচন। যাকে কেন্দ্র করে ময়দানে নেমে লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই প্রতিশ্রুতি পত্র প্রকাশ করল গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার পানাজিতে সাংসদ মহুয়া মৈত্র, লুইজিনহো ফ্যালেরিও-এর উপস্থিতিতে প্রকাশ পেয়েছে এই প্রতিশ্রুতি পত্র।
তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছে গোয়ায় ক্ষমতায় এলেই মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ দেবে। এই বিষয়ে রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ‘বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে স্থানীয় প্রশাসনে পঞ্চাশ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যা দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করবে। গোয়া শান্তির পীঠস্থান ছিল। সেই গোয়া এখন অপরাধ ও পতিতাবৃত্তির রাজধানী হয়ে উঠেছে। বিজেপি সরকার আমাদের এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়েছে যা গোয়া কখনও দেখেনি।’ তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছে, মৎসজীবী থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের ঘরে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। বিনামূল্যে, স্বাস্থ্যে ও বেকারদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন পত্রে। মৎসজীবীদের নানান সুযোগ-সুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। মোট দশ দফা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের মনোনয়ন পত্রে।
গোয়ায় পা রাখার কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ‘গৃহলক্ষ্মী’ কার্ড। মাসে ৫০০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ৬০,০০০ টাকা গোয়ার মহিলাদের দেওয়া হবে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে গোয়াতেও তৃণমূলের টার্গেট মহিলা ভোটই। সঙ্গে রয়েছে যুব স্মার্ট কার্ড। একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ে অনুঘটকের কাজ করেছিল ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রতিশ্রুতির। যা বাংলায় মহিলা ভোট চুম্বকের মত টেনে এনেছিল তৃণমূলের দিকে। সেই ছকেই গোয়াতে মহিলা ভোটারদের টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।