নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী বছর লোকসভা ভোটের সঙ্গে সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলতে বদ্ধ পরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ওই সংক্রান্ত বিল পেশের জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবারই এ বিষয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে। কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের পাশাপাশি আইনজ্ঞদের রাখা হবে। কারা-কারা থাকতে পারেন, তা নিয়ে রাজধানীর অন্দরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০১৪ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদি ‘এক দেশ এক ভোট’ তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলার পিছনে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি হল, এতে নির্বাচনের খরচ কমবে। একটি ভোটার তালিকাতেই দু’টি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না। মোদির ওই সিদ্ধান্তকে খুল্লামখুল্লা সমর্থন জানিয়েছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশনে বসা ‘আজ্ঞাবহ ভৃত্য’রা। গত জুলাই মাসে লোকসভার বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আচমকাই সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষের বিশেষ অধিবেশন বসছে। সাধারণত বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে নভেম্বরের শেষ দিকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়। এবার সেই রীতি ভাঙছে মোদি সরকার। কেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। খানিকক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি সংক্রান্ত বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে সংসদে মহিলাদের সংরক্ষণ ছাড়াও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিলও পেশ হতে পারে। গভীর রাতেই সরকারের শীর্ষ মহল সূত্রে জানা যায়, ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিল পেশের জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে মাথায় রেখে এক কমিটি গঠন করা হচ্ছে।