এই মুহূর্তে




‘সম্মানহানির কারণেই মেয়েকে খুন’, চার্জশিটে টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের বাবার ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি: টেনিস খেলোয়াড় মেয়ে রাধিকা যাদবকে খুন করেছেন তাঁর বাবা দীপক যাদবই। মাস কয়েক আগে গুরুগ্রামের প্রাক্তন টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের হত্যার ঘটনা রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসনকে। দিন দুপুরে গুলি চালিয়ে মেয়েকে খুন করেন দীপক যাদব। ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয় খেলোয়াড়ের খুনি বাবা দীপক যাদবকে। এবার রাধিকা হত্যা মামলায় আদালতে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল। ২৫৪ পৃষ্ঠার চার্জশিটে রাধিকার বাবা দীপক যাদবকেই তাঁর মেয়েকে খুনের জন্যে একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে দায়ী করা হয়েছে। চার্জশিট অনুসারে, দীপক যাদব মিথ্যা অহংকারের জন্য তাঁর মেয়ে রাধিকাকে হত্যা করেছেন। পুলিশ তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, দীপক যাদব তাঁর মেয়েকে তিনবার গুলি চালিয়ে হত্যা করেছেন।

কারণ হিসেবে অভিযুক্ত দীপক যাদব স্বীকার করেছেন যে, মেয়ের উপার্জনে জীবনযাপন করছেন বলে গ্রামবাসীরা প্রায়শই তাঁকে উত্যক্ত করত এবং তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলত। বিষয়টি তাঁর আত্মসম্মানে লেগেছিল। সেই ক্ষোভ থেকেই মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন দীপক যাদব। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, দীপক ও তাঁর খেলোয়াড় মেয়ে রাধিকার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। দীপক প্রায়শই রাধিকাকে বাইরে যেতে বা কোচিং ক্লাসে যোগ দিতে বাধা দিতেন, যার ফলে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হত। এছাড়া, দীপক রাধিকাকে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছিলেন। কারণ সেখানে রাধিকার রিল ভিডিও বানানো দীপকের পছন্দ ছিল না। আর দীপকের মেয়ের উপর এমন আচরণ ক্রমশ বেড়েই চলছিল। সেই উত্তেজনার বশেই মেয়েকে খুন করেন দীপক। তবে রাধিকা হত্যা মামলায় ৩৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করেছিল পুলিশ। এই বক্তব্যগুলিতে পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে যে, রাধিকা তাঁর পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু তাকে কোচিং ক্লাস এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাধা দিয়েন দীপক।

রাধিকা খুনের ঘটনা গোটা গুরুগ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। রাধিকা যাদব ছিলেন একজন প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড়। তিনি অসংখখ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাই তাঁকে হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিল এবং তাঁকে খুনের দায়ে তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করেছিল। আদালতে এখন চার্জশিট দাখিল করেছে এবং আরও আইনি প্রক্রিয়া চলছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গুরুগ্রামের অভিজাত সুশান্ত লোক এলাকার তিনতলায় রাধিকার বাড়িতেই তাঁকে খুন করেন তাঁর বাবা। হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা গেলে রাধিকা যাদবের কাকা কুলদীপ যাদব দৌড়ে উপরের তলায় গিয়ে দেখেন রাধিকা রান্নাঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। রাধিকার তাঁর বাড়ির নিচতলাতেই থাকতেন। রাধিকার রক্তাক্ত দেহের পাশে তার বাবা, দীপক যাদবের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তলটি পড়ে ছিল। রাধিকাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিহারে ভোটের মুখে জোর ধাক্কা ‘ইন্ডিয়া’র, জোট ভেঙে ৬ আসনে প্রার্থী দিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা

রাস্তার মধ্যেই মহিলাকে জোরপূর্বক চুমু খেয়ে পালাল দুষ্কৃতী, সাঙ্ঘাতিক ঘটনা যোগী রাজ্যে

‘অপারেশন সিঁদুর’ শুধু ট্রেলার, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে গোটা পাকিস্তান’, হুঙ্কার রাজনাথের সিংহ

২ বছর বেতন বকেয়া! সরকারি দফতরের সামনেই আত্মঘাতী কর্ণাটকের এক জলকর্মী

ওড়িশায় ধর্ষণের শিকার ভিনরাজ্যের কিশোরী, রক্তাক্ত অবস্থায় নিজেই গেল হাসপাতালে

৩৫ লাখের সোনা, বিলাসবহুল গাড়ির মালিক! রাজনীতিতে যোগ দিয়েই ফাঁস খেসারি লালের সম্পত্তির হিসেব

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ