নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার সেই গ্রেফতারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে। গ্রেফতারির পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হেমন্ত।
জমি কেলেঙ্কারি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সাত ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর হেমন্তকে গ্রেফতার করে। হেমন্ত সোরেনের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সুপ্রিম কোর্টে জানান, এই মামলা নিয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট থেকে তাঁর আবেদন প্রত্যাহার করে নেবেন হেমন্ত। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কি রায় দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে হেমন্ত সোরেনের দল ।
গত ২০ জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ৪৮ বছর বয়সী হেমন্ত সোরেনকে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর। এরপরেই গত ২৭ শে জানুয়ারি ইডি হেমন্ত সোরেনকে নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। নয়বার ইডির সমন এড়িয়ে যাওয়া হেমন্ত সোরেনকে ২৯ জানুয়ারি বা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই কারণেই ২৯ শে জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট ইডি প্রথম ডেকে পাঠান হেমন্ত সোরেনকে। সেই সময় হাইকোর্টে সোরেন দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডে মাফিয়াদের দ্বারা অবৈধভাবে জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি বিশাল চক্র- এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জে বেআইনি খনন সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি ২০২১ সালে তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ আদায় করেছিলেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেমন্ত সোরেন।