এই মুহূর্তে




হায়দরাবাদ অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা, কোলের সন্তানকে জড়িয়ে ধরেই পুড়ে ছাই মা




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৃত্যু কতটা ভয়ানক হতে পারে, জানিয়েছেন হায়দরাবাদ অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা। রবিবার (১৮ মে) সকালে হায়দরাবাদের আইকনিক চারমিনারের কাছে ‘গুলজার হাউস’ নামক একটি বহুতল ভবনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮ শিশু-সহ ১৭ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চারজন মহিলা। আহত হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের সকলকেই আশঙ্কা জনক অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যে এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকাটি ছিল সোনার দোকানে মোড়া। জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটেছে। এলাকাটি এতটাই ঘিঞ্জি থাকার কারণে দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়। যখন এই বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়, তখন স্থানীয় লোকেরাই প্রথমে সেখানে পৌঁছে অগ্নিকাণ্ডে ফেঁসে যাওয়া মানুষদের সাহায্যে ছুটে আসেন।

এরপর উদ্ধারকারীর দল এসে আটকে থাকা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনার ভয়াবহতা জানিয়েছেন স্থানীয় লোকেরা ভয়াবহতা বর্ণনা করলেন। জহির, যিনি কাচের চুড়ির ব্যবসা করেন, তিনিই প্রথম সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। জহির বলেন, আগুন থেকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় একজন মহিলা তার সন্তানদের জড়িয়ে ধরেছিলেন। কিন্তু এই অগ্নিকাণ্ডে তারা পুড়ে যান। পরে মহিলা এবং শিশুর পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরেই আমরা ঘরের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু আগুনের তীব্রতা ছিল খুবই ভয়ানক। সেই সময়ে ঘরের ভেতরে একজন মহিলা তার কোলের সন্তানদের জড়িয়ে ধরেছিলেন। ঘটনায় তিনজনেই মারা যান। আমি বাঁচাতে পারলাম না। আগুন লাগার পর ভবনের ভেতরে যাওয়া খুবই কঠিন ছিল। তবুও, কোনওভাবে আমরা ১৩ জনকে বের করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে ধোঁয়ার কারণে আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। এরপর আমরা ভেতরে ঢোকার জন্য একটি দেওয়াল ভেঙে ফেলি। ততক্ষণে বেশিরভাগই দগ্ধ হয়ে মারা যান এবং বাকিরা ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা যান।’

এই ঘটনায় তেলেঙ্গানা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ওয়াই নাগি রেড্ডি জানিয়েছেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। কিন্তু সেখানে ঢুকতে খুবই সমস্যা হয়েছিল দমকল কর্মীদের। সেখানে পৌঁছানোর জন্য কেবল একটি প্রধান ফটক ছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার জন্য খুব সরু সিঁড়ি আছে। তাই, আগুন লাগায় কেই পালানোর পথ পায়নি।” পুলিশ জানিয়েছে, যে যে ভবনে আগুন লেগেছে তার নিচতলায় ছিল গয়নার দোকান এবং উপরের তলার একটি ফ্ল্যাটে লোকজন থাকত। ধোঁয়া উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজনের শ্বাসরোধ শুরু হয়। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি, নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্ত রেড্ডিও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Pahalgam terror attack: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত অভিযোগে এনআইএ’র হাতে গ্রেফতার ২

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের প্রভাব ভারতীয় বাণিজ্যে, প্রবল ক্ষতির আশঙ্কায় চাল ব্যবসায়ীরা

বোকারোতে অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেলেও ‘মূল মাস্টারমাইন্ড’ পলাতক, খুঁজছে পুলিশ

গভীর কুয়োয় ওঠা নামা যেন বাঁহাতের খেল, দেশি স্পাইডারম্যানের কীর্তি দেখে নিন স্বচক্ষে

‘মে ডে…’, ফের ককপিট থেকে ‘কল’ পাইলটের, বেঙ্গালুরুতে জরুরি অবতরণ ইন্ডিগোর বিমানের

টানা দুই বছর ধরে ১৪ জনের ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের দলিত কিশোরী, ভয়ঙ্কর ঘটনা অন্ধ্রে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ