নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিবিসির দিল্লি দফতরে আয়কর হানা। একই দিনে তাদের মুম্বইয়ের অফিসেও আয়কর দফতর তল্লাশি শুরু করেছে। আয়কর দফতরের এক পদস্থকর্তা জানিয়েছেন, এটাকে তারা সে অর্থে তল্লাশি বলছেন না। এটা সমীক্ষা। তবে আয়কর দফতর থেকে এই খবর লেখা পর্যন্ত সরকারি বিবৃতি জারি করে খানা-তল্লাশির খবর দেওয়া হয়নি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়েছে, আয়কর দফতরের কর্তারা দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে ঢুকে তাদের ফোন কেড়ে নেয়। আপত্তি জানালে শুনতে হয় ধমক। হুমকি দেওয়া হয়ে দেখে নেওয়ার। কর্মীদের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে বলে খবর।
সংস্থার অ্যাকাউন্ট বই খতিয়ে দেখা হয়েছে। আয়কর দফতরের এক কর্তার বয়ান অনুযায়ী, এটা রুটিন কাজ। মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন দফতরে তারা গিয়ে সংস্থার অ্যাকাউন্টের বই পরীক্ষা করে। দেখা হয় লেনদেনের হিসেব।
যে ঘটনা সব থেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ তা হল, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে তাদের তৈরি তথ্যচিত্র প্রকাশের পর এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের আয়কর দফতর তাদের দিল্লি ও মুম্বই অফিসে তল্লাশি চালাল। স্বাভাবিকভাবেই আয়কর দফতরের এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীদল আয়কর দফতরের এই খবরদারি নিয়ে সরব হয়েছে। কংগ্রেসর তরফ থেকে এই আয়কর হানার নিন্দা করতে গিয়ে বলা হয়েছে বিবিসিকে ভয় দেখিয়ে চাপে রাখতেই কেন্দ্র এবার আয়কর দফতরকে লেলিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন বেকায়দায় মোদি সরকার, বিবিসির তথ্যচিত্রের সমর্থন আমেরিকার