নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তেলেঙ্গানায় মাধ্যমিক পাশ করে সকলের নজর কাড়লেন ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী। শুধু মাধ্যমিক পাশ করেই পড়াশোনা শেষ করতে দিতে চান না তাঁরা। তাঁদের লক্ষ্য, পুলিশ আধিকারিক হওয়া। দুই কিশোরীর সাফল্যে খুশি তাঁদের শুভানুধ্যায়ীরা।
জানা গিয়েছে, ২ ধর্ষিতা কিশোরীর মধ্যে একজন ২০২৩ সালের নিজের বাবার হাতেই ধর্ষিত হয়েছিলেন। কিশোরীর পেটে যন্ত্রণা হতে শুরু করায় তাঁর ঠাকুমা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা। একইসঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, যেহেতু বিষয়টি অনেকটা পড়ে জানা গিয়েছে, তাই গর্ভপাত ঘটানো যাবে না। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই শিশুর জন্ম দেন ওই কিশোরী। কিন্তু এতকিছুর পরও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত পরীক্ষায় সফলতা আসে।
অন্যদিকে ধর্ষণে শিকার আরেক কিশোরী তার কাকার হাতে ধর্ষিত হন। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরও হাল ছেড়ে দেননি ওই কিশোরী। কঠোর পরিশ্রমের পর দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সাফল্য আসে। কিশোরীর সাফল্যে খুশি তার পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, এই ২ মহিলারই স্বপ্ন, বড় হয়ে তারা পুলিশ অফিসার হবেন। যেভাবে পুলিশ আধিকারিকরা তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই ভবিষ্যতে পুলিশ হতে চান ধর্ষিতা কিশোরীরা। ভবিষ্যতে কিশোরীরা যাতে সাফল্য পান, সেজন্য সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।