এই মুহূর্তে




আইন রক্ষার বদলে ভাঙলেন আইন, পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা মদ্যপ পুলিশকর্তাদের, কোথায় ঘটল?

নিজস্ব প্রতিনিধি: যে পুলিশকর্তাদের হাতে থাকে শৃঙ্খলা রক্ষার ভার, তাঁরাই ভাঙলেন আইন। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। মদ্যপ অবস্থায় গারী চালালে যেখানে সাধারণ মানুষকে জরিমান করা হয় সেখানে খোদ পুলিশ কর্তারাই ভাঙলেন নিয়ম। আইন প্রয়োগের দায়িত্বে নিযুক্ত উর্দিধারী ব্যক্তিরা নিজেরাই আইন ভঙ্গ করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ইন্দোরে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে সাধারণ মানুষকে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘণ্টার মধ্যে দুটি পৃথক ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র ইন্দোরে। পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে সাধারণ লোকদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সোমবার রাত ৮টার দিকে ভোপাল রেলওয়ে স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তায় প্রথম ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, দীপক ওরফে রাজেন্দ্র সিং নামে একজন আইটিবিপি জওয়ান, যিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি তাঁর প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে চারজন পথচারী এবং রাস্তার পাশের গাড়িতে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলওয়ারা পুলিশ জানিয়েছে, বিলখিরিয়া থানা এলাকার অধীনে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত চালক কোকতা ট্রান্সপোর্ট নগরের আইটিবিপি ক্যাম্পাস থেকে একজন অতিথিকে নিতে এসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে তিনি দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং মাতাল অবস্থায় ছিলেন।

চার যুবককে আঘাত করার পর, দীপক পালানোর চেষ্টা করলেও পথচারীরা তাকে ধরে ফেলে এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করে। গাড়ির উপর ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার লেখা ছিল বলেই জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। ইন্সপেক্টর অজয় কুমার সোনি নিশ্চিত করেছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেছেন, “চারজনই পায়ে আঘাত পেয়েছেন। একজনের পা ভেঙে গিয়েছে। আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি এবং আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।” আহতদের চিকিৎসার জন্য হামিদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনার মাত্র দুই ঘন্টা পরে, রাত ১০:৩০ টার দিকে, ইন্দোরের রাওজি বাজার এলাকার বাসিন্দারা আরেকটি অমানবিক ঘটনা ঘটে। তিনজন কর্মরত পুলিশ সদস্যের দ্বারা ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, ইউনিফর্ম পরা তিনজন মাতাল পুলিশ সদস্যের একটি সাদা গাড়ি প্রথমে দুই তরুণীকে প্রায় ধাক্কা দেয়, যারা ওষুধ কিনতে এলাকার একটি ফার্মেসিতে গিয়েছিল। মহিলারা যখন চিৎকার শুরু করে তখন অভিযুক্ত তিনজন দ্রুত পালিয়ে যায় এবং পালানোর সময় চার থেকে পাঁচজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা গাড়িটি ধাওয়া করে ঘিরে ফেলে এবং দেখতে পায় যে ভিতরে থাকা পুলিশ সদস্যদের কনস্টেবল অনিল (সংযোগিতাগঞ্জ পুলিশ স্টেশন), হেড কনস্টেবল সুদর্শন হেরভে (ভানওয়ারকুয়ান) এবং কনস্টেবল বেদান্ত (আজাদ নগর) নামে চিহ্নিত করা হয়। তবে,  পুলিশ  আসার আগেই তারা তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জেএনইউ ছাত্র সংসদ রইল বামেদের কব্জায়, ধরাশায়ী সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির প্রার্থীরা

বিহারের এই শহরের বেহাল অবস্থা, সেতু না থাকায় নৌকা করে ভোট দিতে আসেন স্থানীয়রা

বিহারে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ প্রথম দফার নির্বাচন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬০.১৩ শতাংশ

 জুবিন গর্গের মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার ভাই, ‘নৈতিক’ কারণে ইস্তফা অসমের মুখ্য তথ্য কমিশনারের

OBC মামলা আপাতত শুনতে পারবে না কলকাতা হাইকোর্ট, জানিয়ে দিল সুপ্রিমকোর্ট

নিকাশি নালা থেকে উদ্ধার মহিলার মুণ্ডুহীন নগ্ন দেহ, ভয়ঙ্কর ঘটনা যোগী রাজ্যে!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ