নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে মহা ফ্যাসাদে পড়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার সকালেই খবর রটেছিল, মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্ধারামাইয়াকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসবে মেতে ওঠেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থকরা। কিন্তু দুপুরে ওই জল্পনায় জল ঢেলে রাজ্য কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, ‘আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের শপথগ্রহণ হবে।’
এদিনও কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জটিলতা কাটাতে দফায়-দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে যেমন কর্নাটকের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে আলাদাভাবে তাঁদের মতামত নিয়েছেন, তেমনই রাহুল গান্ধি ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই দাবিদার ডি কে শিবকুমার ও সিদ্ধারামাইয়াকে। সূত্রের খবর, কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নেবেন না। প্রয়োজনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ইস্তফা দিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে সিদ্ধারামাইয়াও পরোক্ষে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে কর্নাটকের দলীয় বিধায়কদের একাংশ বিদ্রোহ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী লোকসভা ভোটে দল বড় সড় ধাক্কা খেতে পারে।
দুই নেতার রণংদেহী মূর্তিতে যথেষ্টই অস্বস্তিতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। বিশেষ করে দলকে ক্ষমতায় ফেরানোর পিছনে যিনি বিশেষ অবদান রেখেছঞেন সেই কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হুমকিতে অশনিসঙ্কেত দেখছেন মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। কেননা, ২৫ থেকে ৩০ বিধায়ক শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ। তারা দল ছাড়লে রাজ্যের ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে জটিলতা কাটাতে নতুন ফর্মূলা বা সমাধান সূত্রের খোঁজ শুরু করেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।