নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্ভুল বুথ ফেরত সমীক্ষায় তাদের জুড়ি মেলা ভার। পশ্চিমবঙ্গ হোক কিংবা গুজরাত, গোয়া হোক কিংবা হিমাচল প্রদেশ- বিধানসভা ভোটে বার বার নির্ভুল বুথ ফেরত সমীক্ষা করে চমকে দিয়েছে জনমত সমীক্ষা সংস্থা অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া। বুধবার কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের পরে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশ করা বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণের রাজ্যটিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে বহু দূরেই থমকে দাঁড়াতে হচ্ছে। গতবারের মতো কিং মেকার হয়ে উঠতে পারছে না এইচ ডি দেবেগৌড়ার জেডিস।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র হয়ে কর্নাটকে বুথ ফেরত সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া।’ সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস ন্যূনতম ১২২টি এবং সর্বোচ্চ ১৪০টি আসন পেতে চলেছে। সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার হলো ১১৩। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যাবে শতাব্দী প্রাচীন দল। বিজেপি পেতে পারে ৬২ থেকে ৮০ আসন। আর জেডিএসের ঝুলিতে যেতে পারে ২০ থেকে ২৪ আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে মাত্র তিনটি আসন।
বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, এতদিন যে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় বিজেপির শক্ত ভোট ব্যাঙ্ক ছিল, সেই সম্প্রদায় পদ্ম শিবির থেকে মুখ ঘুরিয়ে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাবদির মতো লিঙ্গায়েত নেতাদের দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ফলে বড় ধাক্কা খাচ্ছে বিজেপি। বেঙ্গালুরু, মধ্য মাইশূর, হায়দরাবাদ এবং মহারাষ্ট্র সীমান্তবর্তী এলাকাতেও কংগ্রেস জবরদস্ত ফলাফল করতে চলেছে। বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার ইস্যু তুলে হিন্দুত্বের আবেগে সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। কিন্তু তা গেরুয়া শিবিরকে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড এনে দিতে পারছে না বলে বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছে।