নিজস্ব প্রতিনিধি, কর্নাটক : কর্নাটকের প্রাক্তন জনতা দল (সেকুলার) নেতা খুন হলেন। মল্লিকার্জুন মুথায়েল নামে এই নেতা কিছুদিন আগে জনতা দল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর বিজেপিতে যোগদান ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাই মল্লিকার্জুন খুনে দক্ষিণের এই রাজ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
৬৪ বছর বয়সি মল্লিকার্জুনকে নিজের দোকানেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এমনকী, তাঁর যৌনাঙ্গেও আঘাত করা হয়েছিল। খুন হওয়ার একদিন আগেই তিনি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া দিনকয়েক আগে কর্নাটকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। যদিও আনু্ষ্ঠানিকভাবে মল্লিকার্জুন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেননি। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের কথা ছিল। মৃতের পুত্র ভেঙ্কটেশ বলেন, ‘মাস কয়েক আগে আমাদের দোকানে চুরি হয়। তারপর থেকে বাবা রাতে দোকানেই শুতেন। সকালে দেখা যায় বাবাকে খুন করা হয়েছে। দোকানের টাকা নেই। এছাড়া বেশ কিছু জিনিসপত্রও খোয়া গিয়েছে। মনে হচ্ছে এটা চোরেদেরই কাজ’। পুলিশ কর্তা ইশা পন্থ বলেন, ‘সোমবার রাতে নিজের ইলেকট্রনিক দোকানে শুয়ে ছিলেন মল্লিকার্জুন। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাত ছিল। তাঁর যৌনাঙ্গেও আঘাত করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, পাথর দিয়ে তাঁকে মারা হয়েছে’।
মল্লিকার্জুন কালাবুরাগি সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন। কর্নাটকে ভোগগালিগা, লিঙ্গায়েত, কুরুবা সম্প্রদায়ের পরই কালাবুরাগি সম্প্রদায়। সেই সম্প্রদায়ের উপর তাঁর বেশ প্রভাব ছিল। কর্নাটকের ভোটের অঙ্কে যেহেতু জাতপাত জড়িত, তাই মল্লিকার্জুন খুনে কালুবুরাগি সম্প্রদায়ের মানুষজন কোন পথ বেছে নেন, সেটাই দেখার।