নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের তরফে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। আর ওই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছেন মুখচোরা ও লাজুক স্বভাবের মানুষ হিসাবে পরিচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মঙ্গলবার জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কে কী বলেছেন, সেটা বৈঠকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো ভোটে জেতা। ভোটে না জিতলে এ সব বলে কী লাভ হবে? জেতার পরেই গণতান্ত্রিক পর্যায়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত করা হবে।’
সূত্রের খবর, সদ্য সমাপ্ত তিন রাজ্যের ভোটে দলিত সম্প্রদায়ের সমর্থনেই বাজিমাত করেছে বিজেপি। দলিত ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত অধিকাংশ আসনে জয়ী হয়েছেন পদপ্রার্থীরা। বিজেপির দলিত ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতেই দলিত সম্প্রদায়ের খাড়গের নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। কংগ্রেস সভাপতিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে যে তাঁদের আপত্তি নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বৈঠকে হাজির আরও ৫-৬টি দলের প্রতিনিধিরা।
মমতা আর কেজরির প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছিলেন খাড়গে। তৃণমূল কংগ্রেস ও আপ সুপ্রিমোর প্রস্তাবের পরেই বিনয়ী কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই চাই না। শুধু এই স্বৈরাচারী সরকারকে (মোদি সরকার) সরাতে চাই। ভোটে জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী ঠিক হবে।’
পরে সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি জানান, ‘শিগগিরই ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। পঞ্জাব-দিল্লির মততো রাজ্যগুলিতে পরিস্থিতি খানিকটা জটিল। ওই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই প্রচারে ঝাঁপানো হবে।’