নিজস্ব প্রতিনিধি, সিমলা: শতাব্দীর ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ। ভয়াবহ বন্যা আর ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। আর প্রকৃতির ওই রোষের দগদগে ঘা যখন শুকোয়নি, তখনই প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রসিকতা করলেন মাণ্ডি আইআইটির’র পরিচালক লক্ষ্মীধর বেহেরা। তাঁর দাবি, ‘মাংস খাওয়ার জন্যই প্রকৃতির রোষ নেমে এসেছে হিমাচলে।’ আইআইটির ডিরেক্টরের ওই আজব দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। নেটা নাগরিকদের অনেকে কটাক্ষ ছুড়ে বলেছেন, ‘’এই আজব জীবকে কে আইআইটির ডিরেক্টর পদে বসাল?’
মাণ্ডির আইআইটির ডিরেক্টর পদে বসার পর থেকেই একের পর এক উদ্ভট মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসেবে নিজেকে সগর্বে ঘোষণা করা লক্ষ্মীধর বেহেরা। কতটা কট্টর হিন্দুত্ববাদী তা বোঝাতে কণ্ঠিধারীদের মতো গলায়-কপালে তিলক এঁকে থাকেন সবসময়ে। সুযোগ পেলেই পড়ুয়াদের হিন্দু ধর্মের হয়ে মগজ ধোলাই করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে বেহেরার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়াদের এক অনুষ্ঠানে মাণ্ডির আইআইটির ডিরেক্টর বলছেন, ‘হিমাচল এই যে এত বার ভূমিধস, মেঘ বিস্ফোরণ এবং আরও অনেক কিছু হচ্ছে, তার পিছনে রয়েছে পশুহত্যা। পশুদের উপরে নিষ্ঠুরতার প্রভাব পড়ছে। মানুষ নিরীহ পশুদের হত্যা করে মাংস খায়। যতদিন না পশু হত্যা বন্ধ হবে, মাংস খাওয়া বন্ধ হবে, ততদিন পর্যন্ত প্রকৃতির রোষ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। পরিবেশের অবক্ষয়ের সঙ্গে নিরীহ পশুদের হত্যার সম্পর্ক রয়েছে। তোমরা হয়ত সাদা চোখে তা বুঝতে পারছ না। কিন্তু আছে। নিশ্চিতভাবেই আছে।’