নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই পুরুলিয়া(Purulia) হয়ে উঠেছিল পদ্মের অভয়ারণ্য। উনিশের লোকসভা ভোটে তাই জেলার একমাত্র লোকসভা কেন্দ্রটি জিতে নেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি(BJP) জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিতেই লিড তুলেছিল। একুশের ভোটেও তাঁরা জেলার ৬টি আসন নিজেদের দখলে ধরে রাখতে সমর্থ হয়। কিন্তু গত বছরের পঞ্চায়েত ভোটে জেলায় জমিহারা হয়েছে বিজেপি। সেই সুযোগে ফের পুরুলিয়ার লোকসভা কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নিতে চাইছে তৃণমূল(TMC)। এখানে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শান্তিরাম মাহাতো। এদিন তাঁর সমর্থনেই জেলার পাড়া ব্লকে একটি জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর সেই সভা থেকেই তিনি পুরুলিয়ার জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ভোট দিতে যাবেন, আর ২টো করে কান মূলবেন।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে মমতা এই কান মোলার প্রশ্নে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন! আসলে মমতা বিজেপির কান মুলে দিতে বলেছেন।
এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘ওরা ২ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজ ছিল নামেই। ৩০ দিনও কাজ দিত না। তবুও যে কাজ আপনারা করেছেন, তার টাকাটা কিন্তু আমরা দিয়েছি। আমরা একটা আলাদা প্রকল্পও করেছি যার নাম কর্মশ্রী। তাতে ৫০ দিনের কাজ দেওয়া হবে। কেউ চাইলে ৬০ দিনও করতে পারেন। আর ওরা টাকা আটকে রেখে এখন বলে বেড়াচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নাকি টাকা অপচয় করেছে, তাই নাকি ওরা ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। ওরে মিথ্যাবাদী, মিথ্যুকের দল, ১৮.২৪ কোটি টাকা তৃণমূল কংগ্রেস বাঁচিয়েছে। মিথ্যে কথা বলেছিস তোরা, কান মুলে দিতে হয় ওদের। ১টা করে ভোট দেবেন আর ২টো করে কান মুলবেন। মনের মধ্যে এতটাই রাগ রাখবেন। ভোট দিতে যাবেন, আর ২টো করে কান মূলবেন। তবে যদি শান্তি হয়।’
মমতা এদিন পাড়ার সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকেও(ECI) একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে খবর আসছে, উত্তরপ্রদেশে নাকি সংখ্যালঘুদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ওদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোট দিতে গিয়েছে বলে পিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে রোদের মধ্যে একটা ছেলেকে। কী ভাবছেন, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে! একেবারেই না। বিজেপির দালালি করে বেড়াচ্ছে কিছু লোক। যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে। আমি আপনাদের বলি, বাংলার হাত দিলে হাত গুটিয়ে দেবে মানুষ। বাংলার হাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। পাঁচজনকে না হয় তোরা ভোট দিতে দিবি না, কিন্তু মনে রাখিস আরও পাঁচ কোটি মানুষ তোদের বিরুদ্ধে দেবে! এটা তোদের মাথায় রাখতে হবে। অত্যাচার করে ভোট হয় না।’