এই মুহূর্তে




কৃষককে পিটিয়ে মেরে গায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালালেন বিজেপি নেতা, ছেঁড়া হল মেয়েদের পোশাক

নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার গণেশপুরা গ্রামে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার কাজে শিউড়ে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার ভয়াবহতায় একই সঙ্গে আতঙ্ক এবং শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে বিজেপি বুথ কমিটির সভাপতি এবং গুনা কিষাণ মোর্চার প্রাক্তন পদাধিকারী মহেন্দ্র নাগার এক কৃষককে পিটিয়ে খুন করে তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। এখনেই শেষ নয় অত্যাচার চালানোর পর গায়ের উপর দিয়ে থার জিপ চালানোরও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা রক্তপাতের আকার ধারণ করে। রবিবার নির্যাতিত ৪০ বছর বয়সী কৃষক রামস্বরূপ ধাকাড, তার স্ত্রীর সঙ্গে নিজের জমিতে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এবং তার সহযোগীরা অতর্কিত আক্রমণ করে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে মহেন্দ্র নাগার এবং তার সঙ্গে থাকা ১৩ থেকে ১৪ জনের দল রামস্বরূপকে লাঠি ও রড দিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং তারপর তার উপর একটি গাড়ি চালিয়ে দেয়। ঘটনার সময়ে রামস্বরূপের মেয়েরা তাদের বাবাকে বাঁচাতে ছুটে গেলে তাদের উপরেও অত্যাচার করা হয়। কৃষকের মেয়েদের গ্রামবাসীদের সামনে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তরা ভয় দেখানোর জন্য আকাশ  গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। মৃত কৃষকের মেয়ে জানিয়েছেন, “আমি যখন আমার বাবাকে বাঁচাতে যাই, তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, আমার কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং আমাদের ভয় দেখানোর জন্য গুলি চালায়। আমার মা এবং বাবা মাঠে যাচ্ছিলেন, তখন মহেন্দ্র, হরিশ এবং গৌতম তাদের আক্রমণ করে। তারপর তারা থার দিয়ে আমার বাবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তিনি চিৎকার করেন, কিন্তু কেউ সাহায্য করতে পারেনি কারণ তাদের কাছে বন্দুক ছিল।” অভিযুক্তরা হামলার সময় কৃষকের মেয়ের বুকের উপর বসে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়েই পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামস্বরূপের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ১২ জনের বেশি  অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় খুন ও হামলার মামলা দায়ের করেছে।  

প্রসঙ্গত, চার বছর আগে ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে ত‍ৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষক এবং এক সাংবাদিককে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও অজয়ের দাবি ছিল, ঘটনার সময় ওই গাড়িতে ছিলেন না আশিস। ওই ঘটনায় আশিস এবং তাঁর সঙ্গী অঙ্কিতের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। ৯ অক্টোবর আশিসকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার কয়েক দিন পরেই উদ্ধার করা হয় তাঁর বন্দুক।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘লালকেল্লার বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদীদেরই কাজ’, ৪৮ ঘন্টা বাদে স্বীকার করে নিল কেন্দ্র

হরিয়ানার ফরিদাবাদে মিলল আত্মঘাতী জঙ্গি উমরের লাল রংয়ের ইকোস্পোর্ট

অনলাইন বেটিং অ্যাপের সঙ্গে যোগ, সিআইডির জেরার মুখে প্রকাশ রাজ

লালকেল্লা বিস্ফোরণ: লাল রংয়ের ফোর্ড ইকো স্পোর্টের খোঁজে হন্যে গোয়েন্দারা

 লালকেল্লার বিস্ফোরণ থেকে শিক্ষা নিন, গাড়ি বেচা-কেনার আগে কি কি নিয়ম মানবেন?

দিল্লি বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে হাসপাতালে মোদি, জড়িতদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ