নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: রাত পোহালেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট। আগামী ৫ বছরের জন্য নিজেদের ভাগ্যবিধাতাদের বেছে নেবেন মধ্যপ্রদেশের আম জনতা। ভোটের ফল কী হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়েছে পদ্ম শিবির। আর সেই টেক্কা নির্বাচনী সভার ক্ষেত্রে।
ভোটের বাদ্যি বাজার পরেই কোমর কষে আসরে নেমেছে বিজেপি-কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। যদিও মধ্যপ্রদেশে লড়াই দ্বিমুখী। কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির। রাজ্যবাসীর মন জয়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ বিজেপি শীর্ষ নেতারা মোট ৬৩৪টি সভা করেছেন। উল্টোদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি-সহ কংগ্রেসের তারকা প্রচারকরা ৩৫০টির মতো সভা করেছেন।
বিজেপির হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মোট ১৫টি জনসভায় তাঁর অমৃতবচন ও অগাধ জ্ঞান বিতরণ করেছেন। তিনি সভা করেছেন রতলাম, সেওয়ানি, খান্ডোয়া, সিধি, দামোহ, মুরিয়ানা, গুণা, সাতনা, ছত্তারপুর, নিমুচ, বারওয়ানি, ইন্দোর, বেতুল, শাঝাপুর ও ঝাবুয়ায়। বিজেপির হয়ে সর্বাধিক সভা করেছেন অমিত শাহ। তিনি ২১টি সভায় ভাষণ দিয়েছেন। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ১৪টি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ১২টি সভা করেছেন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান একাই ১৬৫টি সভা করেছেন।
উল্টোদিকে কংগ্রেসের পক্ষে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ ১১৪টি সভা করেছেন। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং ৫০টি সভায় ভাষণ দিয়েছে। রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি মিলে মোট ১১টি সভা করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৯টি জনসভায় হাজির ছিলেন।