নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে রাহুল গান্ধি নন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তাঁকে সমর্থন জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই প্রস্তাব শুনে খানিকটা অস্বস্তি বোধ করেন কংগ্রেস সভাপতি। সেই অস্বস্তি কাটাতে খাড়গে বলেন, ‘আগে তো জিতি, তার পরে দেখা যাবে।’
দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসে এদিন দিল্লিতে বসেছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক। ওই বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, ডিএমকে-সহ ২৮ দলের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। মধ্য ভারতের তিন রাজ্যে ব্যাপক ভরাডুবির কারণে বৈঠকে আর দাদাগিরি দেখানোর পথে হাঁটেননি কংগ্রেস নেতারা। সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, খাড়গেরা অনেকটাই ম্রিয়মান ছিলেন। বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে তিন রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পিছনে ইভিএমের কারচুপি থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকেই। ইভিএমের পাশাপাশি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পর পর দুই দিন যেভাবে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের গণহারে সাসপেন্ড করা হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে বার বারই ইন্ডিয়া জোটকে খোঁচা মেরে জানতে চাওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ কে? জোটের একাধিক নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাশা রয়েছে বলেও টিপ্পনি কাটা হয়েছে। বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে যাঁর নাম নিয়ে জোর চর্চা চলছে সেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে মাস্টারস্ট্রোক দেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার অন্যতম দাবিদার তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ‘২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মোদির বিকল্প হিসাবে তুলে ধরা রাহুল গান্ধিকে যে তাঁরা চান না, তা পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা-কেজরিওয়াল।’