নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: মাথায় রয়েছে ঈশ্বরের হাত। তাই, কোনও মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে সেও ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী হবেন। এই প্রলোভন দেখিয়ে এক পুলিশকর্তার মেয়েকে গত তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছেন এক বাবা। ব্যাপারটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছে গেলে নির্যাতিতা বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবাজিকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পস্কো আইনে মামলা রুজু করেছে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, নিজেকে ঈশ্বরের দূত পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি একদিন তাঁকে ডেকে পাঠায়। সে নিজে বিগত কিছুদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছিল। বিশ্বাস হয়েছিল, ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে নিজের সমস্যার কথা জানালে সে নিশ্চই সমাধানের পথ বলে দেবে। তরুণী ওই স্বঘোষিত ঈশ্বরের দূতের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যায়। কথাবার্তায় বাবাজি তরুণীর সমস্যার কথা জানতে চান। সব কিছু শুনে তিনি ওই তরুণীকে হাতে তুলে দেন প্রসাদ। বলেন, ভক্তিভরে প্রসাদ খেয়ে নিলেই সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। প্রসাদ খাওয়ার পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই সুযোগে ওই সাধু তরুণীকে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরে সে তখনকার মতো বাড়ি চলে যায়। যাওয়ার সময় সাধু তরুণীকে বলে, সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। তাই, আবার তাকে আসতে হবে। আর শারীরিক সম্পর্কের কথা ভুলেও যেন না বলে।
একদিকে ভয়, অন্যদিকে লজ্জা। তাই মুখ বন্ধ করে বসেছিল। পরে উপলব্ধি করে, নির্যাতনের কথা পরিবারকে না জানালেই নয়। পরিবারের তাঁর মুখে ওই কথা শুনে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
