নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের অপছন্দের কারণে নিজের প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য রবিবার রাতেই নবান্নে বার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর তার পরেই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সচিবের পদে কে দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের সুপারিশ করা কোনও আমলাকে নিজের সচিব পদে চাইছেন না পদ্ম শিবিরের ‘ইয়েসম্যান’ রাজ্যপাল। পরিবর্তে বিজেপির পছন্দের আমলাকেই নিজের সচিবের দায়িত্ব দিতে চাইছেন। আর সেক্ষেত্রে তাঁর প্রথম পছন্দ অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের এক আমলা। ওই আমলাকে না পাওয়া গেলে বঙ্গ বিজেপির ঘনিষ্ঠ আরও চার আমলার যে কোনও একজনকে নিজের সচিব পদে বেছে নিতে পারেন রাজ্যপাল।
নিয়মানুযায়ী, নিজের প্রধান সচিব, প্রেস সচিব বেছে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে নামের তালিকা চেয়ে পাঠাবেন রাজ্যপাল। ওই তালিকা থেকে কাউকে পছন্দ না হলে নিজের পছন্দের কাউকে চেয়ে পাঠাতে পারেন। যিনিই প্রধান সচিব হোন না কেন, তার কাজ হচ্ছে রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। রবিবার রাতে প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানালেও প্রধান সচিব হিসেবে কোনও তালিকা পাঠানোর জন্য নবান্নকে নির্দেশ দেননি রাজ্যপাল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগের দিনই প্রধান সচিবের পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে গূঢ় রহস্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্যের প্রবীণ আমলারা। তাঁদের মতে, দিল্লির প্রভুদের খুশি করতে পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাতের রাস্তাতেই হাঁটবেন কর্মজীবনে সুবিধাবাদী হিসেবে পরিচিত সি ভি আনন্দ বোস। আর সেক্ষেত্রে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ও বিজেপি মনোভাবাপন্ন কোনও আমলাকেই রাজভবনের প্রধান সচিব হিসেবে বসাবেন। কিন্তু কাকে বসানো হবে তা নিয়ে দিল্লির প্রভুদের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।