এই মুহূর্তে




‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আমাদের রক্ত ফুটছে’, জঙ্গিদের কড়া জবাব দেওয়ার আশ্বাস মোদির  




নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কোভিড কালীন সময়ে এই অনুষ্ঠান থেকেই বারবার জনসাধারণকে মনোবল যুগিয়েছিলেন তিনি। রবিবার ফের একবার ‘মন কী বাত’ এর মাধ্যমে দেশবাসীকে জানালেন পহেলগাঁও তিনি ভোলেননি। এদিন ফের একবার পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রবিবার অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি শোকপ্রকাশ করেন ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে। তারপরই জঙ্গি মদতদাতা ও সন্ত্রাসবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘জঙ্গি হামলার কঠোর জবাব দেবে ভারত। আমার বিশ্বাস পহেলগাঁওয়ের ঘটনা দেখে প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটছে।’’

এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে ক্ষোভ। তিনি বলেন, “পহেলগাঁও কাণ্ড প্রত্যেক ভারতীয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের যে কোনও প্রান্তে থাকা মানুষ পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমব্যথী। পহেলগাঁও হামলা সন্ত্রাসীদের কাপুরুষতার প্রতিফলন।”

২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকে মানুষের অনেক কাছের হয়ে উঠেছিল ভূস্বর্গ। এই কয়েক বছরে অসংখ্য মানুষ কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছেন। ফলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সেখানকার অর্থনীতি। খুলেছে স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কাশ্মীরে শান্তি ফিরছিল, স্কুল-কলেজ খুলছিল, গণতন্ত্র মজবুত হচ্ছিল- সেসব দেশের শত্রু বা জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুদের সহ্য হয়নি। তারা চেয়েছিল, আতঙ্ক ছড়িয়ে কাশ্মীরকে আবার অশান্ত করে তুলতে। সেই কারণে এমন ষড়যন্ত্র রচনা করা হল।’’

একতাই বল এই নীতিকে মাথায় রেখে ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে সমগ্র ভারবাসীকে জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন,‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। গোটা বিশ্ব দেখছে এই হামলার পর পুরো দেশ এক সুরে কথা বলছে। ভারতীয়দের মনে যে আক্রোশ আছে, তা গোটা দুনিয়াতেই আছে। এই জঙ্গি হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে সমবেদনা এসেছে। আমাকেও বিশ্বের বিভিন্ন নেতা ফোন করেছেন, চিঠি লিখে ঘটনার নিন্দা করেছেন।’’

যারা সেদিনের হামলায় চলে গিয়েছেন তাঁরা আর ফিরবেন না। ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাঁদের পরিবারকে। সেই সব শোকসন্তপ্ত হতভাগ্য পরিবারের উদ্দেশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, ‘‘আমি নিহতদের পরিবারদের ফের এক বার আশ্বস্ত করেত চাই, ন্যায় মিলবেই। ষড়যন্ত্রকারী এবং হামলাকারীদের কঠোর জবাব দেওয়া হবেই।’’

মঙ্গলবারের ওই হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে ঐতিহাসিক সিন্ধু জলচুক্তি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আটারি সীমান্ত। ফলে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট বন্ধ। বৈধ ভিসায় যারা পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন তাঁদের ১ মে’র মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ‘সার্ক’ ভিসাও। পাল্টা পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানও। ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে পাকিস্তান। বাতিল করা হয়েছেন ১৯৭১ সালের সিমলা চুক্তি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চেনেন কী ‘মৌমাছির দেবী’কে? জেনে নিন দেবী ভ্রামরীর অজানা কাহিনি

জেনে নিন, মহাবিশ্বের সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের নিয়ন্ত্রক শক্তি ভুবনেশ্বরীর মাহাত্ম্য

পাকিস্তানি আরও এক দূতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ

সাইফুল্লাহর শোকসভায় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন পাক সেনার

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে ‘আল্লাহ কে বান্দে …’ গেয়ে হিন্দুত্ববাদীদের হেনস্থার শিকার হিন্দু শিল্পী

রামমন্দিরের নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ জুনের মধ্যে, রাম দরবারের প্রাণ প্রতিষ্ঠা ৫ জুন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ