এই মুহূর্তে




‘যোগ শেখানোর আড়ালে চলছিল জঙ্গি প্রশিক্ষণ’, নিষিদ্ধ PFI নিয়ে হাড়হিম করা তথ্য জানাল NIA




নিজস্ব প্রতিনিধি: যোগ শেখানোর নামে তরুণ-তরুণীদের গুজরাত দাঙ্গা ও গণপিটুনির বিভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে চলছিল মগজ ধোলাইয়ের কাজ। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামী দেশে পরিণত করার বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী গঠনেরও চেষ্টা চলেছিল।  নিষিদ্ধ ঘোষিত পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর বিরুদ্ধে চার্জশিটে এমনই বিস্ফোরক দাবি জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

গত বছরে রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর, শিকার, কোটা-সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ওই পাঁচ নেতা হলেন- মোহাম্মদ আসিফ (কোটা), সাদিক সরাফ (বারান), মোহাম্মদদ সোহেল (উদয়পুর), ওয়াজিদ আলি (কোটা) ও মুবারিক আলি (কোটা)। গত বছরের ১৯ অক্টোবর পিএফআইয়ের পাঁচ জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে আদালতে চচার্জশিট জমা দেয় এনআইএ। ওই চার্জশিটেই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে। এনআইএ-এর চার্জশিট অনুযায়ী, কেরলের মতো রাজস্থানেও জঙ্গি বাহিনী গঠনের ষড়যন্ত্র চলছিল। যোগ কেন্দ্রের আড়ালে যুবক-যুবতীদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছিল। গুজরাত দাঙ্গা এবং গণপিটুনির ভিডিও দেখিয়ে তরুণদের মগজ ধোলাই করে বিপথে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পিএফআইয়ের শীর্ষ নেতৃত্বের লক্ষ্য ছিল, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।

চার্জশিটে অভিযোগ আনা হয়েছে, যোগ শেখানোর নামে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বাছাই করা তরুণ-তরুণীদের। যাকাতের নামে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে পিএফআই-এর সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পরিচালিত হত। জয়পুরে পিএফআই মডিউলের যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের   মধ্যে একজন মোহাম্মদ আসিফের মোবাইল ফোন থেকে একটি ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ফাইলটিতে লেখা ছিল, ‘যুবকদের সুস্থ রাখার জন্য যোগব্যায়াম, মার্শাল আর্ট, খেলাধুলা, সঙ্গীত অনুষ্ঠান এবং কুস্তি আখড়া অনুষ্ঠানের মতো শারীরিক সুস্থতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।’ এছাড়াও, অনেক এনজিও এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনেক ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পিএফআই-এর সাথে যুক্ত সদস্যদের তাদের নিজস্ব শহরে ক্যাম্প পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যোগব্যায়াম স্কুল এবং আখড়ার আড়ালে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আড়ালে তরুণদের অস্ত্র চালনা এবং মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। আসিফের ফোন থেকে আরও অনেক ছবি এবং ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে তরুণ-তরুণীদের এয়ারগান ধরে থাকতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও আরও একটি ছবি উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে পুরুষ ও মহিলাদের বক্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পটভূমিতে পিএফআই পতাকা এবং আজাদি মহোৎসবের পোস্টার দেখা যাচ্ছে। পিএফআই-এর স্কুলে, তরুণদের উস্কানিমূলক ভিডিও দেখিয়ে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি মুসলিম জাতিতে পরিণত করার উপর জোর দেওয়া হয়। মগজ ধোলাইয়ের পর ক্যাডারদের দুটি ভাগে শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রথম মৌলিক প্রশিক্ষণ যেখানে সদস্যদের মার্শাল আর্ট, বক্সিং, এয়ারগান শুটিং ইত্যাদি শেখানো হয়। প্রশিক্ষণের প্রথম অংশের লক্ষ্য ছিল শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যারা উন্নত স্তরের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। এর নাম দেওয়া হয়েছিল উন্নত কুঠার।

প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় ধাপ কুঠার-২ এ তরোয়াল, চাকু বা অন্য অস্ত্রের ব্যবহার শেখানো হয়েছিল। কীভাব প্রতিপক্ষের মাথা, বুক, কাঁধ বা অন্যান্য দুর্বল অংশগুলিতে আঘাত করতে হবে তা শেখানো হতো। ভারত সরকার, হিন্দু সংগঠন এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। প্রশিক্ষণ চচালানোর জন্য জয়পুরে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্টে ২০১১ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯১৬.৯৯ টাকা জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ২,৯৬,১২,৪২৯.৫০ টাকা তোলা হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত? সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফের বৈঠক মোদির

অক্ষয় তৃতীয়াতেই ধাক্কা, মাদার ডেয়ারির পর দুধের দাম বাড়াল আমুল

স্কুলছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার, পাকিস্তানি পতাকায় মূত্রত্যাগ করতে বাধ্য করল দুষ্কৃতীরা

১ মে থেকে দেশে পাঁচটি বড়সড় পরিবর্তন, চাপ পড়তে চলেছে পকেটে

পুলিশের ভ্যান থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু ১ আসামির, পথ অবরোধ নিহতের পরিবারের

রাহুলের দাবি মানল মোদি সরকার, দেশজুড়ে হবে জাতিগত সুমারি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর