নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রসঙ্গে শুক্রবার স্পষ্ট তথ্য দিল ভারত সরকার। শরিফের দেশ যাত্রীবাহী বিমানের জন্য নিজের আকাশসীমা বন্ধ করেনি, বরং বেসামরিক বিমানগুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্জাবে উচ্চ বিমান প্রতিরক্ষা সতর্কতা পরিস্থিতির সময় ফ্লাইটর‍্যাডার ২৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরকার তাদের বক্তব্যের সমর্থন জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ভারত সফলভাবে সেই আক্রমণ প্রতিহত করেছে। ড্রোন হামলার সময়ের ফ্লাইট ডেটা নিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিতে বসে অপারেশন সিঁদুরের অন্যতম কাণ্ডারী কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “ভারতের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে করাচি এবং লাহোরের মধ্যে বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলি ফ্লাইট পরিচালনা করছিল।”

এদিনে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’কে সফল করার আর এক চাবিকাঠি ছিল যার হাতে সেই উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করেছে বৃহস্পতির রাতে। তিনি বলেন, “ভারতের উপর আক্রমণ যাত্রীদের জন্য নিরাপদ হবে না জেনেও পাকিস্তান ভারতের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।”

তিনি আরও সংযোজন করেন, “পাকিস্তান বেসামরিক বিমানগুলিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা ভাল করেই জানত যে ভারতের উপর তাদের আক্রমণের ফলে দ্রুত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছাকাছি উড়ন্ত আন্তর্জাতিক বিমান তো বটেই, বেসামরিক বিমানগুলির জন্য নিরাপদ নয়।”

প্রসঙ্গত, এমনিতেই নিজের দেশে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। প্রথমত, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরে তাদের করা একের পর এক মিথ্যাচার, দ্বিতীয়ত পড়শি দেশের বারবার করা তর্জন গর্জনকে কার্যত ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের পর এক পাক নাগরিক নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে তিনি অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন পাকিস্তানের লজ্জা লাগা উচিত। ভারত ঘরে ঢুকে তাদের মেরে এসেছে, আর পাকিস্তান কিছুই করতে পারেনি- এই সত্য মেনে নেওয়া উচিৎ। বিশ্বের প্রতিটি শক্তিধর দেশের কাছে এই মুহূর্তে সাহায্য ভিক্ষা চাইছে শরিফের দেশ, কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে সকলেই। তারপরেও পাকিস্তানের নির্লজ্জতা সীমা অতিক্রম করেই চলেছে। তারা যে কতখানি নিকৃষ্টতম দেশ তা বারবার প্রমাণ করতেই যেন বদ্ধপরিকর দেউলিয়া পাকিস্তান।