এই মুহূর্তে




অমিতাভের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম, দিলজিৎকে খুনের হুমকি খলিস্তানি জঙ্গিদের

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘সর্দার জি 3’ মুক্তির পর থেকেই বিতর্কের শিকার পঞ্জাবি গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসঞ্জ। ছবিতে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে নায়িকা বানানোর জন্যেই তাঁকে ভারত থেকে বয়কটের ডাক উঠেছিল। তবে এবার অন্য কারণে শিরোনামে এলেন দিলজিৎ। দিন কয়েক আগেই মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালিত ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন দিলজিৎ দোসঞ্জ। সেখানে গিয়ে অমিতাভকে দেখে তাঁর প্রতি নিজের ইমোশন কন্ট্রোল করতে পারেননি গায়ক-অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে নিজের একাধিক অজানা কাহিনী ভাগ করে নেন অভিনেতা, এমনকী শো চলাকালীন অমিতাভ বচ্চনের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন দিলজিৎ। আর এটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেতার জীবনে। যা খালিস্তানি জঙ্গিদের মনে আঘাত করেছে। অমিতাভ বচ্চনের পা স্পর্শ করে প্রণাম করার জন্য বুধবার, (২৯ অক্টোবর) খালিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস (SFJ) পঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জকে খুনের হুমকি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

পাশাপাশি এসএফজে প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনও আগামী ১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় দিলজিৎ দোসঞ্জের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র সাম্প্রতিক পর্বে পাঞ্জাবি গায়ক-অভিনেতা বচ্চনের পা স্পর্শ করেছিলেন। যেটি আগামী ৩১ অক্টোবর সম্প্রচারিত হবে। এই অনুষ্ঠানের একটি ক্লিপ ভাইরাল হতেই দিলজিৎকে লাগাতার মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন খালিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। SFJ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘পঞ্জাবি অভিনেতা-গায়ক বচ্চনের পা স্পর্শ করে ১৯৮৪ সালে দিল্লিতে শিখ-বিরোধী দাঙ্গার প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে অপমান করেছেন। যেখানে বলিউড অভিনেতা ‘খুন কা বদলা খুন’ (রক্তের বিনিময়ে রক্ত) স্লোগান দিয়ে জনতাকে উস্কে দিয়েছিলেন। বচ্চনের ‘খুন কা বদলা খুন’ ডাকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময়। যেখানে ভারতজুড়ে ৩০,০০০ এরও বেশি শিখ পুরুষ, মহিলা এবং শিশু নিহত হয়েছিলেন। আর যে ব্যক্তির কথায় গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল সেই সময়, সেই বচ্চনের পা ছুঁয়েই দিলজিৎ ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যার প্রতিটি শিকার, প্রতিটি বিধবা এবং প্রতিটি অনাথকে অপমান করেছেন। তিনি একজন শিখ এমনটা করতে পারেন না।’ তবে দোসাঞ্জ এখনও SFJ-এর হুমকির বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেননি।

অজ্ঞাতদের জন্য, ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই বছরের ১ নভেম্বর শিখ-বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই অমৃতসরের অকাল তখত সাহেব ১ নভেম্বরকে “শিখ গণহত্যা স্মরণ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, গান্ধির মৃত্যুর পর দিল্লিতে প্রায় ২,৮০০ এবং ভারতজুড়ে ৩,৩০০ জনেরও বেশি শিখকে হত্যা করা হয়েছিল।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফর্মে ফিরল ‘পরশুরাম’, টিআরপিতে মুখ পুড়ল ‘পরিণীতা’-র, শীর্ষাসন দখলে কার?

বিরাট পদক্ষেপ! দুবাইয়ে ‘আল্ট্রা-লাক্সারি’ প্রাইভেট আইল্যান্ড তৈরি করতে চলেছেন রণবীর-আলিয়া

ভিএইচপি নেতার গ্রেফতারি, চাপের মুখে প্রশাসন? রাতারাতি বদলি করা হল ‘লেডি সিংহম’ ADM ঋতুকে

CPIM-র ৬ কর্মীকে অপহরণ ও খুনে ৪৫জনকে যাবজ্জীবন

‘আপনাদের লজ্জা নেই?’ ধর্মেন্দ্রর জুহুর বাড়ির সামনে পাপারাজ্জিদের ভিড় দেখে চটলেন সানি দেওল

তীব্রতা ছিল ভয়ানক, লালকেল্লায় বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে দোকানের ছাদে উদ্ধার কাটা হাত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ