নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: রবিবার সন্ধ্যায় বাণিজ্যনগরী থেকে এল উদ্বেগের খবর।
মারাঠাভূমে করোনার নতুন এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও সাতজন। এদের মধ্যে চারজন বিদেশ ফেরত। বাকি তিনজন এই চারের সংস্পর্শে এসেছিলেন। দেশে নতুন এই প্রজাতিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১২। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, আক্রান্তদের মধ্যে এক মহিলা ও তার দুই কন্যা রয়েছেন। সম্প্রতি এরা নাইজেরিয়া থেকে ফেরেন। একই দিনে দিল্লি থেকেও আরও এক আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, তামিলনাড়ুতে করোনায় এক আক্রান্তকে ঘিরে সন্দেহ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। শনিবার মাদুরাই বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিমানবন্দর থেকে তাঁকে সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জেনোম পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে নমুনা। পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ল্যাবে। স্থানীয় প্রশাসন রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের সন্দেহ, ওই ব্যক্তি ওমিক্রনের শিকার। তবে রিপোর্ট না আসায় তারা সরকারিভাবে এই বিষয়ে কিছু জানাতে চাইছে না। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তার খোঁজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ভারতেও করোনার নতুন প্রজাতি তার জাল বিস্তার করতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত তা ভয়াবহ আকার নেয়নি। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই ভাইরাসে গুজরাতে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। দিল্লিতেও এক আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
রবিবার কানপুর আইআইটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর তথা অধ্যাপক ড. মনিন্দর আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আগামী বছরের জানুয়ারির শেষদিকে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। করোনার নতুন এই প্রজাতির বৈশিষ্ট্য হল দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়া। তবে সে প্রাণঘাতী নয়। স্বস্তি বলতে এটুকুই।যদিও তাদের এই অভয়বাণীতেও দেশের আম আদমি খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারছে না।