নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভাইয়ের বয়স মাত্র ২৯ বছর। কিডনি (kidney) কাজ করে না। তাই নিয়ম করে ডায়ালিসিস (dialysis) করতে হয়। গত নয় বছর ধরে চলছে ডায়ালিসিস। ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন, বেঁচে থাকার দুটো রাস্তা – ডায়ালিসিস চালিয়ে যে ক’দিন বাঁচিয়ে রাখা যায়। আর দ্বিতীয় রাস্তা যদি কেউ কিডনি দান করেন। ছেলেকে বাঁচাতে বাবা ও মা কিডনি (kidney) দান করতে রাজি থাকলেও শারীরিক কারণে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, দু’জনের একজনেরও কিডনি ছেলের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যাবে না। হাতে রইল শুধু বোন।
এই অবস্থায় মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বাবা-মা। মেয়ে এককথায় রাজি হয়ে যান। সমস্যা একটাই – মেয়ে-জামাই থাকে নিউজিল্যান্ড (New Zealand) । খবর পেয়েই দম্পতি ভারতে আসার জন্য টিকিট কাটেন। দেশে পৌঁছে তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত ১১ জুন অপারেশন হয়েছে তরুণের। সাফল্যের সঙ্গে ২৯ বছরের ভাইয়ের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে বোনের একটি কিডনি।
পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক এই দুই ভাই-বোনের সঙ্গে। কিডনির (kidney) অসুস্থতায় ভুগছিলেন ২৯ বছরের আমান বাত্রা। বাড়ি গুরুগ্রাম। আমন পেশায় একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার। এত কম বয়সে কিডনির রোগ ধরা পড়ায় আমনের বাবা-মা রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হত আমানের। তাঁরা জেনে যান, বেঁচে থাকার রাস্তা হয় ডায়ালিসিস না হলে কিডনি প্রতিস্থাপন। নিজেদের কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেওয়ায় আমানের বাবা যোগাযোগ করে্ন মেয়ে চান্দা গ্রোভারের (৩৮) সঙ্গে। চান্দাকে সব কিছু খোলাখুলি জানালে তিনি কিডনি দান করতে রাজি হন।
দেশ যখন রাখি উৎসবে জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই সময় বোধহয় সেরা রাখির উপহার দিলেন ৩৮ বছরের চান্দা তাঁর ভাইকে।