নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘দিল্লি এলেই দেখা করতে হবে,’ সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কার্যত মেজাজ হারালেন মমতা। চারদিনের টানা কর্মসূচি নিয়ে দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার প্রথম দিন কেটেছে চূড়ান্ত ব্যস্ততায়। তৃণমূলে এসেছেন কীর্তি আজাদ, প্রাক্তন জেডিইউ নেতা পবন ভর্মা ও রাহুল ঘনিষ্ঠ অশোক তানওয়ার। নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মমতা। কিন্তু এখনও সময় দেন নি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া। যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। গত কয়েক মাস আগেই দিল্লি গিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মোদি বিরোধিতার হাওয়া তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তখন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। জল্পনা ছিল এবারেও হয়ত সাক্ষাৎ করবেন সোনিয়ার সঙ্গে, কিন্তু বুধবারই তাতে জল ঢেলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানিয়ে দিলেন এবারের দিল্লি সফরে সোনিয়া সাক্ষাৎ হচ্ছে না।
কারণ হিসেবে জানতে গেলেই একটু ক্ষিপ্ত হয়ে মমতা উত্তর দেন, ‘দিল্লি এলেই দেখা করতে হবে এ রকম কি কোনও বাধ্যবাধকতা আছে? সংবিধানে লেখা আছে? আমি কারও থেকে কোনও সময় চাই নি। শুধু প্রধানমন্ত্রীর থেকে রাজ্যের বিষয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলাম। আমি জানি ওঁরা পঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। ওঁরা ওঁদের দলের কাজ করুন।’ যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা কংগ্রেস নেতাদের একে একে নিজের দলে যোগদান করানোয় তীব্র ক্ষুদ্ধ রাহুল গান্ধি। বিশেষ করে গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ সুস্মিতা দেব, লুইজিনহো ফালেরিও কিংবা কীর্তি আজাদ ও অশোক তানওয়ারকে তৃণমূলে নেওয়ায় বেঁকে বসেছে কংগ্রেস। তাই মমতা সাক্ষাতে সোনিয়াকে বারণ করে দিয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধি।
গত জুন মাসে দিল্লিতে এসেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করলেও বাদ যায় নি সোনিয়া ‘মূলাকাত’। শুধুই ব্যতিক্রম হল নভেম্বরের দিল্লি সফর।