নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি ও মুম্বই: বিবিসির দিল্লি ও মুম্বই অফিসে অব্যাহত আয়কর দফতরের তল্লাশি। তল্লাশি শুরু হয় মঙ্গলবার। তারপর কেটে গিয়েছে টানা ৪৫ ঘণ্টা। এই খবর যখন লেখা হচ্ছে, সেই সময় বিবিসির দিল্লি ও মুম্বই অফিসে আয়কর দফতরের কর্তারা রয়েছেন। তল্লাশি কখন শেষ হবে, তল্লাশি থেকে আয়কর দফতরের কর্তারা কী কী পেয়েছে, সেই ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। আয়কর দফতরের কর্তাদের উপস্থিতিতেই বিবিসির কর্মী-সমর্থকেরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিবিসি জানিয়েছে তারা আয়কর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক অতীতে আয়কর দফতর নানা সূত্রে বিভিন্ন সংস্থায় তল্লাশি চালায়। তবে এই ধরনের তল্লাশি শেষ কবে হয়েছিল, সেটা আয়কর দফতরের কর্তারা জানাতে পারছে না। সুপ্রিম কোর্টে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। আর্জি জানানো হয় তথ্যচিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির। সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অস্বীকার করেছে। তথ্যচিত্র যাতে দেশবাসী দেখতে না পারে, তার জন্য কেন্দ্র ফেসবুক, ইউটিউব থেকে লিঙ্ক সরিয়ে দিয়েছে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে এই তল্লাশির বিষয়ে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে সংস্থার তৈরি তথ্যচিত্রের কোনও সম্পর্ক নেই। আয় ব্যয়ের হিসেবে গড়মিল পাওয়ায় তল্লাশির সিদ্ধান্ত । যদিও রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রে অসন্তুষ্ট কেন্দ্র। সেই অসন্তোষের জ্বালা মেটাতেই কেন্দ্র আয়কর দফতরকে বিবিসির পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন ”হিটলারকেও হার মানাবে’, বিবিসি’র পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার