নিজস্ব প্রতিনিধি: গোয়া, ত্রিপুরা, হরিয়ানার পর যাত্রা দক্ষিণ ভারতে। পিকের সহযোগিতায় কর্ণাটকে সংগঠনের দিকে ঝুঁকছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠন সাজানো। আগামী দিনে একাধিক রাজ্যে দল সংগঠন গড়বে।’ অর্থাৎ ২০২৪ সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেস ব্যতীত বিজেপি বিরোধী হিসেবে উঠে আসতে চাইছে তৃণমূলই। তা ইদানিং কিছু কার্যকলাপের মাধ্যমে স্পষ্ট। সূত্রের খবর, গত ২৫ নভেম্বর বাঙ্গালোরে বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা ও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রশান্ত কিশোর। মাথায় রাখতে হবে, গোয়াতে কংগ্রেস ভেঙে লুইজিনহো ফালেরিও সহ বাকি নেতাদের তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন পিকেই। তাই এবার তৃণমূলের হয়ে কর্ণাটকেও সংগঠন গোছাতে ব্যস্ত প্রশান্ত কিশোর। তেলেঙ্গনাতে টিএসআর অর্থাৎ চন্দ্রশেখর রাও-এর দলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাই আপাতত সেই রাজ্যে পা বাড়াতে চাইছে না তৃণমূল। এছাড়াও টিআরএসের নেতা মাধব রাও-এর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক মমতার। তাই সাত পাঁচ ভেবেই তেলেঙ্গনাতে যেতে চাইছে না ঘাসফুল।
বরঞ্চ অনেক সোজা রাস্তা কর্ণাটকে। বিরোধী হিসেবে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার দল জেডিএস লড়াইয়ের ময়দানে বাইরে বসে আছে। তাই বিরোধী শূন্য আসনটি পেতে মরিয়া তৃণমূল। সূত্রের খবর, গত মাসেই বাঙ্গালোরে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে ইয়েদুরায়াপ্পা ও তাঁর পুত্রের সঙ্গে। কারণ সদ্য মুখ্যমন্ত্রীত্ব খুইয়ে ফুঁসছেন বিজেপি নেতা। তাঁর বিপরীর লবির নেতা বাসবরাজ বোম্বাইকে মুখ্যমন্ত্রী করায় ক্ষোভ জমেছে লিঙ্গায়েত সমাজেও। তাই তৃণমূলে আসতে চাইছেন কিছু লিঙ্গায়েত নেতা। যদিও এখনই কিছু বলেননি ইয়েদুয়ারাপ্পা ও তাঁর পুত্র। তালিকায় রয়েছে একাধিক কংগ্রেস নেতা ও জেডিএসের নেতারাও।
তবে এই মুহূর্তে কর্ণাটকে সংগঠন গড়তে কতটা উৎসাহ দেখাবেন তৃণমূল নেত্রী তা সময় বলবে। কারণ ২০২২ গোয়াতে নির্বাচন ও হরিয়ানাতে সদ্য সংগঠন শুরু করেছে তৃণমূল। তাই কর্ণাটকের মত বড় রাজ্যে এই মুহূর্তে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই আপাতত ছোট ছোট রাজ্য কিংবা অঙ্গরাজ্যকেই সামনে রেখে টার্গেট করছে ঘাসফুল শিবির।