নিজস্ব প্রতিনিধি, বেঙ্গালুরু: বিতর্কিত টুইট মুছে ফেলা এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল টুইটার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিচারপতি কৃষ্ণান এস দীক্ষিত জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইটের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষকে ৫০ লাক টাকা জরিমানাও করেছেন।
গত বছর রাজধানীতে চলা কৃষক আন্দোলনের সময়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের বেশ কিছু ব্যবহারকারী টুইট করেছিলেন। ওই টুইট মুছে ফেলার এবং সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য টুইটার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত বছরের জুনে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের নির্দেশ বাক-স্বাধীনতার বিরোধী এবং গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে আর্জিতে উল্লেখ করেছিল জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিল মাসে মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণান এস দীক্ষিত কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কেন ওই টুইট মুছে ফেলা এবং অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে তা জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই টুইটারের প্রাক্তন সিইও জ্যাক ডোরজি এক সাক্ষাৎকারে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইটের সহ প্রতিষ্ঠাতা অভিযোগ করেছিলেন, ‘কৃষক আন্দোলনের সময়ে মোদি সরকার বিরোধী টুইট মুছে না ফেললে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সরকারের তরফে টুইটার কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর হুমকি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য সেটাই করে ভারত সরকার। এটাই আসলে গণতান্ত্রিক ভারত।”