নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন চারেক আগে দুবাইয়ের এক বেকারি কারখানায় তিনজন ভারতীয় নাগরিকের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছিল একজন পাকিস্তানি নাগরিক। তিনজন ভারতীয়ের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। যিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, ১১ এপ্রিল দুবাইয়ের একটি বেকারি কারখানায়। ঘটনার দিন তিনজনের উপরেই কর্মরত অবস্থায় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতদের অভিযোগ, হামলাটি একজন পাকিস্তানি নাগরিক করেছেন।

যিনি ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে বেকারি কারখানায় ঢুকছিলেন। তখনই সামনে তিন ভারতীয় যুবককে দেখা মাত্রই তাঁদের উপর তরবারি দিয়ে আক্রমণ করেন ওই পাকিস্তানি নাগরিক। এবং তাতে দুই ভারতীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন। এবং একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নির্মল জেলার সাউন গ্রামের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী অষ্টাপু প্রেমসাগর এই হামলায় মারা গিয়েছেন। যিনি গত ৫-৬ বছর ধরে দুবাইয়ের ওই বেকারিতে কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে ভারতে নিজের পরিবারের কাছে এসেছিলেন। পরিবারের সদস্যদের মতে, প্রেমসাগর তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছোট সন্তানের সঙ্গে দুবাইতে থাকতেন। প্রেমসাগর এর পরিবার তাঁর মৃতদেহ ভারতে আনার এবং তাঁদের আর্থিক সহায়তা দানের জন্যে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এই হামলায় নিহত দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন নিজামবাদ জেলার শ্রীনিবাস।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি। এই ঘটনায় আহত তৃতীয় ব্যক্তির নাম সাগর, তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তাঁর স্ত্রীও সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তেলেঙ্গানা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবং তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সম্ভাব্য সকল সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ ভারতে আনার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বান্দি সঞ্জয় কুমারও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন যে, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা এই বিষয়ে দুবাই পুলিশের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’ ঘটনায় প্রেমসাগরের পরিবার গভীর শোকে স্তব্ধ।