নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দীর্ঘ দুই মাস বাদে ফের ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে চালু হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রুশ হামলার পরেই নিরাপত্তার কারণে গত ১৩ মার্চ কিয়েভে থাকা ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিয়েভের পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশের দূতাবাস থেকেই অস্থায়ীভাবে কাজকর্ম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আচমকাই কেন কিয়েভে ফের দূতাবাস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্ঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর সময়ে কিয়েভে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। কার্যত ইউক্রেনে পড়াশোনা ও চাকরির জন্য যাওয়া হাজার-হাজার ভারতীয়কে নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য দূতাবাসের আধিকারিকরা সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরিবর্তে গা বাঁচিয়ে চলেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুধুমাত্র ইউক্রেন ত্যাগের অ্যাডভাইজারি জারি করেই নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলেছিলেন দূতাবাসের আধিকারিকরা। আর কিয়েভে থাকা দূতাবাসের আধিকারিকদের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের কারণে প্রাণৈর ঝুঁকিতে পড়ে যান কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া।
শেষ পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড-রোমানিয়া ও হাঙ্গেরিতে ভারতীয় পড়ুয়া ও কর্মজীবীদের পাঠানো সম্ভব হয়। সেখান থেকেই বিশেষ বিমানে দেশে ফেরত আনা হয় বিপন্ন ভারতীয়দের। দেশে ফিরেও অনেকে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিয়েভে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিয়েভে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের অনেকেরই অতীতে এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা না থাকার জন্যই এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখনও যেখানে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে সেখানে কী কারণে কিয়েভে থাকা দূতাবাস পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দিতে চাননি বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা।