নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় নিজের ঢাক নিজেই পিটিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বেআব্রু হল মুখ্যমন্ত্রীর দাবি। শুধুমাত্র চোর সন্দেহে তালিবানি কায়দায় এক নিরীহ যুবকের হাতে-পায়ে লাঠি বেঁধে বেধড়ক মারধর করল উন্মত্ত গ্রামবাসী। কার্যত মারের চোটে আধমরা হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। পুলিশ প্রথমে আক্রান্ত যুবকের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু ওই নৃশংস ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আক্রান্ত যুবকের বাবাকে লাগাতার চাপ দিয়ে চলছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মে সুলতানপুর জেলার (Sultanpur district) মোতিনগরের লমোলির বাসিন্দা হর্ষ ধুরিয়া (Harsh Dhuria) তার দাদু বাড়ি রাইবিগোতে (Raibigo) বেড়াতে গিয়েছিল। বেশ কয়েকদিন দাদু বাড়িতে ছিল। আচমকাই ২৬ মে স্থানীয় এক বাসিন্দা থানায় গিয়ে হর্ষ (Harsh Dhuria) ও তার বন্ধু সচিন পান্ডের (Sachin Pandey) বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনে। হর্ষ ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে পুলিশ।
কিন্তু গত ২৭ মে আচমকাই সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ২৫ মে প্রশান্ত বর্মা নামে রাইবিগোর এক বাসিন্দা হর্ষকে (Harsh Dhuria) প্রথমে ডেকে নেন। তার পরেই চুরি করার অভিযোগ এনে তালিবানি কায়দায় হর্ষর হাত ও পা লাঠি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই হর্ষর বাবা দয়াশঙ্কর ধুরিয়া (Dayashankar Dhuria) পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।