নিজস্ব প্রতিনিধি, কনৌজ (উত্তরপ্রদেশ): মন্দিরের (Temple) ভিতর থেকে মাংস উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জ্বলছে কনৌজ। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে মন্দিরের ভিতরে মাংসের টুকরো রেখে চলে যায়। বিগ্রহ ক্ষতবিক্ষত করে।
ভোরে পুরোহিত (priest) নিত্যপুজোর জন্য মন্দিরে গিয়ে দেখে ভিতরে পড়ে রয়েছে মাংসের টুকরো। মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পুরোহিত বাইরে বেরিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে এলাকার মানুষ সেখানে জড়ো হয়। পরে তারা পুরোহিতের মুখে ঘটনার কথা শোনার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মন্দির সংলগ্ন দোকানে আগুন (set on fire) লাগিয়ে দেয়। শুরু করে ভাঙচুর। মুহূর্তের মধ্যে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
খবর পেয়ে পুলিশ (police) বাহিনী সেখানে পৌঁছলে এলাকাবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ (lathi charge)করে। জনতার দাবি, পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার বদলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে। এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন প্রতিবাদীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের নির্যাতনের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ রাস্তা অবরোধ করে। সেই অবরোধ তুলতে গেলে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
পরে কানপুর রেঞ্জের (Kanpur range) পুলিশ অফিসার প্রশান্ত কুমার এবং কানপুর ডিভিশনের পুলিশ কমিশনার রাজ শেখরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। জেলাশাসক রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন, দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সরকারিকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ (police) বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। মন্দিরে কে বা কারা মাংসের টুকরো রেখে দিয়ে গিয়েছিল, তাদের খোঁজ শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।