নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার? নাকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া? নাকি অন্য কেউ? কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে মঙ্গলবারেও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামিকাল বুধবার ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই দাবিদারের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের। ওই বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কর্নাটকে ভোটের ফল বের হওয়ার পরে ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদে কে বসছেন তা নিয়ে রহস্য থেকেই গিয়েছে। এদিন নব নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পরে রাহুল গান্ধি, কে সি বেণুগোপাল, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার সঙ্গেও রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। দলের পর্যবেক্ষক হয়ে যাওয়া তিন নেতার রিপোর্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিকেলে প্রথমে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন খাড়গে। পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সূত্রের খবর, নিজেদের দাবি থেকে সরতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই দাবিদার। যদিও বেঙ্গালুরু দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে দলের সভাপতির কাছে তিন পর্যবেক্ষক যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে তাঁরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিধায়কই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে রাজ্য চালানোর ভার দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। যদিও তা মানতে রাজি হননি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। তাঁর দাবি, অধিকাংশ বিধায়কের সমর্থন তাঁর পিছনে রয়েছে। এদিন দলের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পরে ১০ জনপথে গিয়ে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে কথা বলেছেন কেসি বেণুগোপাল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ডি কে শিবকুমারকেই অবশ্য চাইছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, আগামিকাল বুধবার ফের মুখ্যমন্ত্রী পদের দুই দাবিদারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন খাড়গে। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।