নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরনিগমের ভোট। শেষ মুহূর্তে জোরদার প্রচার চলছে সব দলের। কিন্তু সকলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে শাসকদল। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়া সভা করলেন। অপরদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় উত্তর কলকাতায় রোড শো এবং জনসভা করলেন। এদিন অভিষেক দলীয় নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন যাতে ভোটের দিন কোনও অশান্তি না হয়।
নীচুতলার দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, ‘ভয় দেখিয়ে ভোট বাড়ানোর চেষ্টা দেখলেই দল থেকে বহিস্কার করা হবে’। তিনি বলেন, ‘এবার কলকাতার পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কারণ গোটা দেশ জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সারা বছরই মানুষের পাশে থাকেন। শুধু ভোট এলেই শ্যামাপোকা বা বসন্তের কোকিলের মতো ময়দানে নামেন না’। এদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের পরিস্কার বার্তা দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে, গণতান্ত্রিকভাবে আবাধ নির্বাচন করতে হবে। মানুষের হৃদয়ে তৃণমূলের জায়গা, জোর করে ধমকে চমকে তৃণমূল ভোট করে না। এটা দেখিয়ে দিতে হবে।
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, তৃণমূল রাজ্যের গণ্ডি ছাপিয়ে এখন সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের স্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছে। সম্প্রতি ত্রিপুরায় পুর ও নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনে যেভাবে ভোট হয়েছে তা গোটা দেশ দেখেছে। ফলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কলকাতার ভোটে হলে মুখ পুড়বে তৃণমূলের। তাই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় আগেভাগেই দলের নীচু তলার নেতা-কর্মীদের সাবধান করে দিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাতে অংশগ্রহন করবে তৃণমূল। আবার মমতার মূল লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট। তাই পচা শামুকে পা কাটুক সেটা চাইছে না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবারও তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা তথা বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় একই কথা বলেছিলেন ভোট প্রচারে। তিনিও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের ভাবমূর্তি আরও বৃদ্ধি করতেই এই জাতীয় বার্তা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ দলের শীর্ষনেতারা।