নিজস্ব প্রতিনিধি: একে রবিবার, ছুটির দিন। তারওপর ভোট।
সকাল থেকে শহরবাসী মেতে উঠল ভোট উৎসবে। রবিবার সকালের দিকে বুথে তেমন লাইন চোখে পড়েনি। তবে বেলা যত গড়িয়েছে লাইন হয়েছে দীর্ঘ।
এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকভাবেই লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকার কথা। এদিন দেখা গেল অন্য ছবি। সকাল হতেই এজেন্টরা পৌঁছে যান সংশ্লিষ্ট বুথে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয় ভোট-উৎসব। অনেকেই সকাল-সকাল বুথে গিয়ে হাজির। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় মুখে তৃপ্তির হাসি।
করোনাবিধির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি বুথে ছিল স্যানিটাইজার। প্রত্যেক ভোটারকে থার্মাল চেকিংয়ের মাধ্যমে যেতে হয়েছে। দেওয়া হয়েছিল গ্লাভস। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় মুখে তৃপ্তির হাসি।
পুরভোটের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে অভূতপূর্ব। কলকাতা পুরভোটে প্রায় ২৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। শহরে ২০০টি জায়গায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। শহরে প্রবেশ করার সমস্ত রাস্তায় চলেছে কড়া নজরদারি। রয়েছে ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম।
শীতের রবিবার মানেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়া। এদিন অবশ্য শহরবাসীর অধিকাংশ নিজেদের পাড়াতেই বন্দি রাখাই শ্রেয় বলে মনে করল। রাস্তা-ঘাট ছিল ফাঁকা। সরকারি ও বেসরকারি বাস রাস্তায় চোখে পড়েছে। তবে অধিকাংশ বাস প্রায় খালি ছিল বলা যেতে পারে।
রবিবার মানেই থলে হাতে বাজার যাওয়া। শহরবাসী বাজারের মায়া ত্যাগ করে পৌঁছে গিয়েছিল নাগরিকর অধিকার প্রয়োগ করতে। এই খবর লেখা পর্যন্ত তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২১ ডিসেম্বর।