নিজস্ব প্রতিনিধি: ছোটো থেকেই কংগ্রেস পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা। রাজনীতিতে হাতেখড়ি ছাত্রাবস্থাতেই। পরিবার সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। রিফিউজি নামে একটি সংস্থা রয়েছে তাদের, যে সংস্থা অনাথ শিশুদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। মহারাজের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে তিনি সিএবি ছেড়েছিলেন। সোমেন মিত্র তাঁকে ঘিরে একসময় স্বপ্নও দেখেছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্ন সফল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, ২১-য়ের পুরভোটে।
রাজনীতিতে পা রেখেই বাজিমাত করলেন সিএবির প্রাক্তন যুগ্মসচিব বিশ্বরূপ দে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়ী হয়েছেন। ক্রিকেটের পরিভাষায় বলা যেতে পারে, প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বিরোধী প্রার্থীকে ক্লিন বোল্ড করে দিলেন বিশ্বরূপ দে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরের এই নতুন সৈনিক জানান, কিছু প্রত্যাশা নিয়েই ওয়ার্ডের মানুষ উদারহস্তে তাঁকে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করাই হবে আগামীদিনে তাঁর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য ।
পরিবারের সব সদস্য কংগ্রেসমনোভাবাপন্ন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বরূপের ঘাসফুল শিবিরে যোগদানে রাজনৈতিকমহল কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়েছিল। প্রশ্ন ছিল, প্রশাসক হিসেবে বিশ্বরূপ দে তাঁর সাফল্য রাজনীতিতে রাখতে পারবেন তো? মঙ্গলবার ভোট গণনার শেষে দেখা গেল, বিশ্বরূপ দে শুধু সফল নন। অর্থাৎ ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে তিনি যেমন সফল, সফল রাজনীতিবিদ হিসেবেও। এই জয় আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিল। বিশ্বরূপ দে-কে প্রার্থী করে ভূল সিদ্ধান্ত নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
এদিন ঠিক কী বলেছেন বিশ্বরূপ?
সিএবির প্রাক্তন যুগ্মসচিব বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যতটুকু খবর পেয়েছি, তার ভিত্তিতে বলতে পারি, ওয়ার্ডের ৮২ শতাংশ ভোট আমার পক্ষে গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ ভোট একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিচ্ছে, এলাকার বাসিন্দারা আমার থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করছেন। ওয়ার্ডে অসাপ্ত কাজ শেষ করাই হবে আমার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।