নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি হায়দরাবাদে তেলেগু ডিজিটাল মিডিয়া ফেডারেশন (DMF) দ্বারা আয়োজিত একটি ইভেন্টের প্রধান অতিথি ছিলেন, তেলেগু সুপারস্টার চিরঞ্জীবী, বিজয় দেবেরাকোন্ডা। যেখানে তাঁরা তাদের মধ্যবিত্ত মূল্যবোধগুলির সঙ্গে স্টারডম কীভাবে মানিয়ে নিলেন সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন। ইভেন্টে মেগাস্টার চিরঞ্জীবী তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকে একটি চলচ্চিত্রের সেটে চরম অপমানের মুহূর্তটি ভাগ করে নিলেন। এবং জানালেন, কীভাবে এই অপমান তাঁর সফলতার সংকল্পকে উৎসাহিত করেছিল।
তিনি বিজয়কেও তাঁর ইন্ডাস্ট্রির একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে উল্লেখ করলেন। তিনি এদিন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা এবং জুনিয়র আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে যে ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন,সেই সম্পর্কে বললেন, “আমি অনেক জুনিয়র আর্টিস্ট ছাড়াও জগ্যা এবং সারদার মতো বিশিষ্ট অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। প্রথম দিকে একদিন সেটে আমার উপর প্রচন্ড চিৎকার করা হল। সেখানে পরিচালক বলল, ‘আপনি কি মনে করেন আপনি একজন সুপারস্টার?’ এই কথায় আমি খুব অপমানিত বোধ করেছিলাম। সেদিনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি সুপারস্টার হয়েই দেখাব। আমি আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ইন্ধন দেওয়ার জন্য ঘটনাটি ব্যবহার করেছি। শুধু আমিই জানি আজ এখানে পৌঁছনোর জন্যে কতটা পরিশ্রম করেছি।”
নিজের যাত্রা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে, “চিরঞ্জীবী আরও বলেন যে, প্রাথমিক দ্বিধা সত্ত্বেও, আমার কাছে একটি সুযোগ এসেছিল। সেটাই আমাকে সুপারস্টার হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে দিল। ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমার কর্মজীবনে অগ্রসর হল। আমি কেবল আমার বন্ধু সুধাকরের সঙ্গে ছিলাম, যিনি পুনাধিরাল্লুতে একটি ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে আমি এটা করতে চাই কিনা। আমি তখন মাদ্রাজ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত থাকায় এটি নিয়ে অনিশ্চিত ছিলাম। সেই ছবিতে প্রথমবার যখন আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম, তখনই আমার নতুন নাম হয়ে গেল। তবে মধ্যবিত্ত হওয়ায় সেই সময়ে আমাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছিল। তা জীবনে ভুলব না। বলা চলে, ওটাই আমার সাফল্যের চাবাকাঠি।”